বঙ্গবন্ধু ছিলেন ত্রিকালদর্শী: ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্ট: শুক্রবার, ৫, আগস্ট সন্ধ্যায় মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৬৭তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি ও পিএইচডি ফেলো মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টি কাজী ফারজানা ইয়াসমিন, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা ও কুমিল্লার চান্দিনা থেকে জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম।

এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

 

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ত্রিকালদর্শী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল,১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে ঘাতকদের নির্মম হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জ্ঞাপন করেন। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বাংলার ইতিহাসে আজ পর্যন্ত তাঁর সমকক্ষ কোন নেতৃত্ব এদেশে সৃষ্টি হয়নি।

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং যোগ্য উত্তরসূরী শেখ কামাল ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজ সেবক এবং চৌকস সেনা কর্মকর্তা। তিনি ছিলেন এ দেশের কোটি তারুণ্যের মাথার মুকুট।

গবেষক মাজহারুল আনোয়ার,শেখ কামালের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী।

গবেষক ফারহানা আক্তার,বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা নিয়ে তার ধারাবাহিক আলোচনা ষষ্ঠ পর্ব উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশন বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছেন।

আর্জিনা খানম বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল বাংলাদেশের অহংকার। আর্জিনা খানম,রাজনীতিতে শেখ কামালের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরেন এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সম্মানিত শিক্ষকগণ যদি আন্তরিকতার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু চর্চা করেন তবে নিশ্চয় নব প্রজন্মের হৃদয়ের মনিকোঠরে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি উজ্জ্বল হবে।

 

পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে গবেষণা করা প্রয়োজন।

 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার।

Share: