বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদকে দ্রুত ফেরত পাঠানোর দাবি

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে দাবি জানালেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ দাবি জানান।

পরে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, এ বার্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে। কোভিড মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে অনুকরণীয় বলেও মন্তব্য করেন তারা।

করোনা মহামারিতে প্রাণহানির সংখ্যা যেমন আকাশচুম্বী তেমনি আর্থ-সামাজিক ক্ষতির মুখেও পড়তে হয়েছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকেও। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও গত আড়াই বছরে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

করোনার ধাক্কা সামাল দিতে কোভিড-১৯ সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ দফতরের সিনিয়র উপদেষ্টা লরা স্টোন সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মার্কিন সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে।

বাংলাদেশের পদক্ষেপ অসাধারণ। আমাদের প্রকল্পের আওতায় কীভাবে কোভিড সহযোগিতা বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

পরে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, আলোচনার বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে।

শাহরিয়ার আলম বলেন, রাশেদ চৌধুরীকে অনেকদিন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। আমরা খুব দ্রুততার সঙ্গে তাকে ফেরত চাই। তার উত্তরে তিনি বলেছেন তার কলিগদের কাছে তিনি এ বার্তাটি পৌঁছে দেবেন।

এদিকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর নিয়ে এখনও কাঁটছে না ধোঁয়াশা। সম্ভাব্য তারিখ এগিয়ে এলেও এখনও নির্ধারণ হয়নি এজেন্ডা।

আগামী ৬ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর মোমেনের পূর্ব নির্ধারিত কম্বোডিয়া সফর থাকায় পুরো বিষয়টিই এখনও ঝুলে আছে।

Share: