বঙ্গবন্ধু অমায়িক মানুষ ছিলেন : ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্টঃ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৬৪তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু অমায়িক মানুষ ছিলেন: ড.কলিমউল্লাহ

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি ও পিএইচডি ফেলো মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ও গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র বঙ্গবন্ধু ইন্সটিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজের অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা, কুমিল্লার চান্দিনা থেকে জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ও যশোর থেকে নূরে আলম জাহিদ এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অমায়িক মানুষ ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ টেলিভিশন সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে আমি আমার জনগণকে ভালবাসি। আমার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে আমি তাদের অত্যাধিক ভালবাসি।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন,মানুষকে হত্যা করা যায়। কিন্তু তাঁর দর্শন, নীতি ও আদর্শকে হত্যা করা যায় না। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঘাতকরা বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। কিন্তু তারা হত্যা করতে পারেনি তার দর্শন, নীতি ও আদর্শকে।

গবেষক মাজহারুল আনোয়ার বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনে সততাই ছিল মূল চালিকা শক্তি। সততার শিক্ষা তিনি পেয়েছেন পরিবার থেকে।

গবেষক ফারহানা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু কুদরত ই খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। অথচ যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে সেই কমিশনের রিপোর্টকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। যা আমাদের বোধগম্য না। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক গবেষণ করা দরকার।

আর্জিনা খানম বলেন, স্বার্থ ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।

পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন,সারাজীবনে বঙ্গবন্ধু বাবার মতোই সততার অনুশীলন করেছেন। রাজনীতিতে কখনও মিথ্যা, ভণ্ডামির আশ্রয় নেননি।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার।

Share: