তরুণ প্রজন্মের নৈতিক শিক্ষার অভাবেই বাড়ছে অপরাধ। এজন্য সামাজিক-রাজনৈতিক সংস্কৃতিকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাবমুক্ত রেখে নৈতিক শিক্ষার প্রসারের কোনো বিকল্প নেই বলে মত তাদের।
জাতির উন্নয়নের মূল শক্তি শিক্ষা। যা মানুষকে ন্যায় ও অন্যায়ের পার্থক্য করতে শেখায়। আর এ শিক্ষা যে প্রতিষ্ঠানে অর্জন করবে সেখানে গিয়েই অনেকে জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী হেনস্তা, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনাও তাই বলছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পার হয়ে আমরা নৈতিকতা হারিয়ে ফেলি নোংরা রাজনীতির ছোবলে। আমরা শিক্ষিত হচ্ছি, কিন্তু মানুষ হচ্ছি না।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনের নীরব ভূমিকা ও রাজনৈতিক প্রভাবই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ।
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ছাত্রের এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে অনেকের পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। আর এসব পৃষ্ঠপোষকতার পেছেন রাজনীতির বড় ভাই, কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগটি রয়েছে।
নতুন প্রজন্ম নৈতিক চর্চায় পিছিয়ে পড়ার কারণেই অপরাধ বাড়ছে বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়া হাসান বলেন, নৈতিকভাবে শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলার জন্য যে ধরনের প্রিভেন্টিভ মেজার রয়েছে, সেগুলো ছাত্রদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসবে।
পারিবারিক শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররা পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি উন্নত নৈতিক শিক্ষা চর্চার মাধ্যমেই শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।