পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ লাভের জন্য মনোনীত হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রেস ওয়াচ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২’ লাভের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সরকারি সফরে বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোনয়নের সংবাদ পেয়ে আজ এক বার্তায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক ২০২২ লাভের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়েছে।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই গৌরবময় অর্জনের জন্য এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শান্তি দর্শন: আন্তর্জাতিকীকরণ ও বিশ্ব রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা’ উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবদান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের সমন্বিত ফলস্বরূপ জনপ্রশাসন পদকের জন্য সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে গৌরবময় এই অর্জনের পেছনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সকল সহকর্মী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে নিয়োজিত রাষ্ট্রদূত/হাই কমিশনার/মিশন প্রধানসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
যেসব কাজের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পদক পেয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে; (১) সদর দপ্তরসহ বিদেশস্থ সকল মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন, (২) গণহত্যা কেন্দ্র (জেনোসাইড সেন্টার) স্থাপন, (৩) জনকূটনীতির পদক্ষেপসমূহ, (৪) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দশদিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠান আয়োজনে সক্রিয় অবদান, (৫) বঙ্গবন্ধু রিসার্চ সেন্টার ফর ফরেন পলিসি এন্ড ডিপ্লোম্যাসি স্থাপন, (৬) বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ প্রবর্তন, (৭) বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমেটিক এ্যাওয়ার্ড অফ এক্সসেলেন্স প্রবর্তন, (৮) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রবর্তন ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপন (৯) বঙ্গবন্ধু-ইউনেস্কো এ্যাওয়ার্ড ফর ক্রিয়েটিভ ইকনমি, (১০) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত ডিসেম্বরে ঢাকায় ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন, (১১) জাতিসংঘ এবং ছয়টি দেশের সাথে বঙ্গবন্ধু স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ, (১২) একাধিক বিদেশি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশ এবং (১৩) বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জীবন, দর্শন ও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অবদানের উপরে বিভিন্ন গ্রন্থ ও প্রকাশনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষা, বাংলাদেশের নীতি ও মূল্যবোধ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে।

Share: