সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সম্পর্কে জেন অস্টেনের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অগ্রগ্রামী :ড. কলিমউল্লাহ।।বাস্তবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও তীক্ষ্ণ সমাজ বিশ্লেষণী ক্ষমতা জেন অস্টেনকে স্বকীয় করে রাখবে:ড.মনিরুজ্জামান

প্রেস ওয়াচ রিপোর্টঃ সোমবার পালিত হল জেন অস্টেন এর ২০৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী।  দিবসটি উপলক্ষ্যে জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা  সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টা প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ডক্টর মনিরুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, জাসিভা (UK) লিমিটেড এর পরিচালক অধিকর্তা এবং জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশের উপদেষ্টা জনাব জাহিদ চৌধুরী।

সোমবার পালিত হল জেন অস্টেন এর ২০৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক এম.এ.বি সিদ্দিক(দিপু সিদ্দিকী)।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জেন অস্টেন সম্পর্কে কিছু তথ্যচিত্র প্রদশর্ন করা হয়।

সামাজিক মর্যাদা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সম্পর্কে জেন অস্টেনের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল অগ্রগ্রামী :ড. কলিমউল্লাহ।।বাস্তবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও তীক্ষ্ণ সমাজ বিশ্লেষণী ক্ষমতা জেন অস্টেনকে স্বকীয় করে রাখবে:ড.মনিরুজ্জামান-ডেইলি প্রেসওয়াচ

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান বলেন,বাস্তবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও তীক্ষ্ণ সমাজ বিশ্লেষণী ক্ষমতা জেন অস্টেনকে স্বকীয় করে রাখবে।তিনি তার বক্তব্যে জেন অস্টেনের জীবনী এবং তাঁর লেখার ধরনের ওপর দৃষ্টিপাত করেন।ড. মনিরুজ্জামান তৎকালীন ব্রিটিশ সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপট এবং নারীদে্র বর্তমান অবস্থার একটি তুলনামূলক চিত্রও তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও বেরোবি’র সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন যে, ইংল্যান্ডে বসবাসকালীন সময়ে তার বন্ধু প্রয়াত প্রফেসর এংরিক ফ্রাংক এর থেকে পাওয়া উৎসাহ আর অনুপ্রেরণার প্রতিচ্ছবিই আজকের জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশ। এছাড়াও তিনি ইংল্যান্ডে জেন অস্টেনের বাড়ি সহ তাঁর পদচারণার প্রতিটি জায়গায়ই ঘুরে দেখেছেন যা তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছে এমন একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নতুন কিছু করতে পেরে তিনি তার উচ্ছাসের কথাও তুলে ধরেন।

এম.এ.বি সিদ্দিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন “এমন উদ্যোগের মাধমে শিক্ষার্থীরা নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করছে”।

 

অনুষ্ঠানটির সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করেন জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশের সেক্রেটারি ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের লেকচারার কাজী ফারজানা ইয়াসমিন।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, জেন অস্টেনের সমাজ দর্শন আর প্রতিবাদী দৃঢ় মানসিকতাই আজকের তরুনদের কাজের একমাত্র উৎস।

অনুষ্ঠানে আরো সংযুক্ত ছিলেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সবুজ খান ও রিদিতা ইফরাত, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদমান তাহমিদ ও সৈয়দা তাসনিম ইসলাম জারিন, এবং ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এ আর তানভীর ও জান্নাতুল আফসারি আনিকা।

জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজিত ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এসভায় শিক্ষানুরাগী অতিথিবৃন্দ সংযুক্ত ছিলেন।এই সভার মাধ্যমে বাংলাদেশে জেন অস্টেন সোসাইটি বাংলাদেশ এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমের শুভ উদ্ধোধন ঘোষণা করা হয়। ইউরোপ সহ অন্যান্য দেশে এধরণেনের সংগঠন থাকলেও বাংলাদেশ তথা এশিয়ায় এটাই প্রথম।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই সংগঠনটি গঠিত হয়েছে।

 

Share: