লালমনিরহাট
বলাৎকারের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকে মুক্তার খারাপ নজর পড়ে ওই শিশুর ওপর। বিভিন্ন কৌশলে নাতি ডেকে ধীরে ধীরে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তা জোরপূর্বক বলাৎকার করে শিশুটিকে। গত ২৮ জুন শিশুটিকে বলাৎকারের পর ৭ জুলাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় সে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবলীগ নেতাসহ আটক ৪
শিশুটির বাবা বলেন, এ রকম ঘটনা কখনোই ক্ষমা করার মতো নয়। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। আজকে আমার ছেলের সঙ্গে এ রকম করেছে। প্রশ্রয় পেলে সে আগামীতে অবশ্যই অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটাবে। তাই আর কোনো ছেলের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে এ লম্পট হুজুরকে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক। বিষয়টি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানার পর ধামাচাপা দিতে শুরু করে দেনদরবার। মাদরাসার সভাপতি এখনো এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এলাকাবাসী জানান, মুক্তা সভাপতির ভাতিজা হওয়ায় তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে কামারহাট জরিনা বেগম হাফিজিয়া মাদরাসার সভাপতি রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, আমরা অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার (এসপি) আবিদা সুলতানা বলেন, আমি এখনো বিষয়টি সেভাবে জানি না। তবে অভিযোগ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।