acci

রাস্তায় দুর্ঘটনায় আহত এক শিক্ষককে হাসপাতালে নিয়ে এসে তার পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক অটোরিকশাচালক। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এ টাকা তিনি হজম করতে পারেননি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে টাকা নেওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ায় তা ফেরত দিতে হয়েছে ওই যুবককে।

রোববার (২৯ মে) রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার (২৭ মে) সোয়া ৩টার দিকে পিরোজপুর শহরের করিমুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ মজুমদার নিজের মোটরসাইকেলে করে একটি জমি ক্রয়ের জন্য টাকা বায়না দিতে শহরের আফতাবউদ্দিন কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন।

পিরোজপুর পৌরসভার সামনে পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনি মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। এরপর তাকে সেখান থেকে অন্য একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম মালাকার তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

এ সময় মিলনের চিকিৎসায় হাসপাতালের কর্মচারীদের সার্বিক সহযোগিতা করছিল সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের অটোরিকশা চালক মিন্টু (৫০)।

এমনকি মিলনের পকেট থেকে বের করা মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনও গৌতমের কাছে জমা রাখে সে। এরই এক ফাঁকে গৌতম পাশে থাকা অবস্থায় মিলনের ডান পকেট থেকে টাকার একটি বান্ডিল বের করে তা নিজের লুঙ্গির মধ্যে লুকিয়ে সেখান থেকে সটকে পরে মিন্টু।

মিন্টুর পরিচয় জিজ্ঞেস করার পর সে দ্রুত জরুরি বিভাগের কক্ষটি ত্যাগ করে বলে জানান সেখানে দায়িত্বরতরা। তবে ভিড়ের মধ্যে মাঝে মধ্যে ছোটখাটো চুরির ঘটনা ঘটলেও এ ধরনের ঘটনা হাসপাতালে প্রথম ঘটেছে বলে জানান তারা।

এ ঘটনার পর পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মিন্টুকে শনাক্তের পর পুলিশ চুরি হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে বলে জানান ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

আরও পড়ুন: চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা

তবে মানুষের বিপদের সময়ও যারা এ ধরণের অপকর্ম করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাসুদুজ্জামান জানান এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষক মিলন শনিবার খুলনায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার স্ত্রী একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং তাদের তিন মেয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বাস করেন।