mom

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এটাকে আগ্রাসন ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাসহ উন্নত দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে। যা অস্থিতিশীল করে তোলে জ্বালানি পণ্যের বাজারকে। বাংলাদেশ বরাবর সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরের বাজার থেকে জ্বালানি কিনলেও অপরিশোধিত তেল কেনার রুশ প্রস্তাবে নতুন পথ খুলেছে সরকারের সামনে।

গত ২৩ মে এ প্রস্তাব বিষয়ে প্রথম মুখ খোলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় এই তেল আনা সম্ভব তা যাচাই বাছাই চলছে।

আরও পড়ুন: ভরা মৌসুমে কেন বাড়ছে চালের দাম? খতিয়ে দেখার নির্দেশ

বিপুল জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এমন বক্তব্যের সাতদিন পার না হতেই এ প্রসঙ্গে নতুন তথ্য দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। দুদিনের ভারত সফর থেকে ফিরে তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে ভারতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে চায় ঢাকা।

তিনি বলেন, রাশিয়া আমাদের কাছে তেল বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমরা তো ভয়ে, ওই নিষেধাজ্ঞার (রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা) ভয়ে… ভারতের কাছে জানতে চেয়েছি তোমরা কীভাবে করেছো। তোমরা তো নিচ্ছো। সেটা তারা বলেছে। জ্বালানির ক্ষেত্রে যে সমস্যা সেটা তো আমাদের জন্য সত্যিকারের একটি সমস্যা। এ নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। তাই আমরা তাদের কাছে বুদ্ধি চাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তারা কীভাবে পরিস্থিতি (রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ও গম কেনা) সামাল দিয়েছে। তারা বড় দেশ, তারা ম্যানেজ করতে পারে। তারা কোনো পদক্ষেপ নিলে কেউ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় না। আমরা তো দরিদ্র, ছোটখাটো দেশ, আমাদের ওপর মাতব্বরি একটু বেশি।

আরও পড়ুন: ইউরোপ এখনো কেন তেল কিনছে রাশিয়া থেকে?

ড. মোমেন বলেন, অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। সেগুলো তো গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্যই আমরা ভারতের সঙ্গে আলাপ করেছি। আঞ্চলিক কিছু সংগঠন গড়ে তোলা, যেন সমস্যা হলে আমরা সামাল দিতে পারি। এটা আমরা আলাপ করেছি। আঞ্চলিকভাবে আমরা স্থিতিশীলতা কীভাবে অর্জন করতে পারি, তা নিয়ে আলাপ করেছি।