বায়াজিদা ফারজানা/মাহবুবঃরাজধানীর বাইরের জেলাগুলোর বাজারেও ভোজ্যতেল নেই। দফায় দফায় দাম বাড়লেও তেল না পেয়ে সংকটে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এদিকে ব্যবসায়ীরা এ সংকটের দায় মিলার ও ডিলারদের ওপর দিচ্ছেন।
‘টাকা দিলে সোনার দোকানে সোনা পাওয়া যায়। কিন্তু তেল পাওয়া যাবে না।’ এমন মন্তব্য করেন এক তেল বিক্রেতা।
বাজারে তেল নিয়ে তেলেসমাতি। বাজার ঘুরে প্রতিটি দোকানেরই সয়াবিন তেল রাখার সারি সারি তাকগুলো খালি।
লিটারে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানোর পরও বাজারে মিলছে না কোনো কোম্পানিরই বোতলজাত তেল। রমজানের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া এ দৈন্যদশা এখন ভয়াবহ সংকটে রূপ নিয়েছে। অতিরিক্ত টাকা গুনেও পাওয়া যাচ্ছে না বোতলজাত সয়াবিন। এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।
একজন নারী ভোক্তা বলেন, আগে ২০ টাকা তেল কিনতাম। এখন দাম বাড়ায় ২৫ টাকার তেল কিনেও রান্না করা যায় না।
হঠাৎ তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়া আরেকজন ক্রেতা বলেন, আগে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে তেল পাওয়া যেত। কিন্তু হঠাৎ করে এত হারে বেড়ে গেলে তো আমরা চলতে পারব না। কোনো দোকানে তেল নেই। এক লিটার তেল ২০০ টাকা এবং ৫ লিটারের তেল এক হাজার টাকা চাচ্ছে। তারপরও তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
এটা কী করে হয়? একটি দেশে একটি পণ্য হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়- এমন অভিযোগ করে ক্রেতারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি, দুই সপ্তাহ ধরে অর্ডার দিয়েও কোম্পানি থেকে বোতলজাত সয়াবিন তেল মিলছে না। এখন বাজার থেকেই উধাও। এজন্য বড় কোম্পানিগুলো আর ডিলারদের কারসাজিকে দুষছেন তারা।
বিক্রেতারা বলেন, ডিলারদের কাছে পণ্য রয়েছে, কিন্তু তা তারা সরবরাহ করতে চাচ্ছেন না। সরকার যে তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, আমাদের কাছে সেগুলো এখনও পৌঁছেনি।
তেল না থাকায় ভোগান্তিতে পড়া আরেক বিক্রেতা বলেন, আমরা বিক্রি করব কী? আমরা নিজেরাই তেল খেতে পারব না। আমাদেরই অন্য দোকান থেকে তেল কিনে খেতে হয়।