বঙ্গবন্ধু কখনো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে চাননি: ড.কলিমউল্লাহ

প্রেস ওয়াচ রিপোর্টঃআজ শুক্রবার,২৫ মার্চ,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৩৫তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. জেবউননেছা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম,শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান,ভারতের টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য,আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিজা জেরিন তাসনীম,কুমিল্লার লাকসাম থেকে প্রভাষক কামাল উদ্দিন ও নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ-জোহরা লিমা।

সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ফেলো ড.তানভীর ফিত্তীণ আবীর এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হতে চাননি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. জেবউননেছা বলেন, ‘মাটি মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিত্বে ছিলেন অটল। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনে আলজিয়ার্স বৈঠকে বঙ্গবন্ধু বাদশাহ ফয়সালকে বলেছিলেন, ‘এক্সেলেন্সি, বেয়াদবি নেবেন না। আমি হচ্ছি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু আমার তো মনে হয় না মিসকিন-এর মতো বাংলাদেশ আপনাদের কাছে কোনও সাহায্য চেয়েছে?’– এই এতটুকু উত্তরে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বকে চেনা যায় ভেঙেছেন কিন্তু মচকাননি।‘

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা ছিল জঘন্যতম গণহত্যার সূচনামাত্র। পরবর্তী ৯ মাসে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা সৃষ্টি করেছিল সেই বর্বর ইতিহাস, নিষ্ঠুরতা এবং সংখ্যার দিক দিয়ে ইহুদি নিধনযজ্ঞ (হলোকাস্ট) বা রুয়ান্ডার গণহত্যাকেও অতিক্রম করে গেছে। বক্তারা বলেন,২৫ শে মার্চ ১৯৭১। পৃথিবীর বুকে নৃশংসতম এক গণহত্যার নাম। বাঙালি যখন তার অধিকারকে আঁকড়ে ধরেছিল, বর্বর পাকিস্তানিরা তখনই বুঝতে পেরেছিল কোনোকিছু দিয়েই এই জাতিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তাই একাত্তরের সেই রাতে শুরু করে জঘন্যতম গণহত্যা। যা জন্ম দেয় মুক্তিযুদ্ধের। শুরু হয় স্বাধীনতার সংগ্রাম। বক্তারা আরো বলেন, ২৫ শে মার্চে বর্বর পাকিস্তানিরা অগ্নিসংযোগ, মর্টার শেল ছুঁড়ে একে একে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ ও জাতীয় প্রেস ক্লাব ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ইএন রুমা।

Share: