ক্ষুধার্তকে খাবার দিতে গিয়ে ইউক্রেনে মেয়র নিহত

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছের শহর গোস্টমেলের মেয়র রুশ বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন। সোমবার (৭ মার্চ) শহর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য দিয়েছে।

এক ফেসবুক পোস্টে তারা জানিয়েছে, ক্ষুধার্তদের রুটি ও অসুস্থদের ওষুধ বিতরণ করতে গিয়ে গোস্টমেলের প্রধান ইউরি ইলিচ প্রিয়াপকো নিহত হয়েছেন। তার দুই সঙ্গীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তবে কখন তাকে গুলিবিদ্ধ করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। শহরটিতে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ আন্তনভ সামরিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে।

যুদ্ধবন্ধে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তৃতীয় দফার বৈঠক শুরু হতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের সময় সোমবার (৭ মার্চ) বিকাল চারটায় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এক টুইটবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইল পডোলক এমন দাবি করেছেন। এর আগে রুশ আলোচক লিওনড স্লাটস্কিও এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে বৈঠক কোথায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তা প্রকাশ করা হয়নি। ইউক্রেনের সঙ্গে বেলারুশের সীমান্ত শহর গোমেলে মস্কো-কিয়েভের প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। এতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেডিনস্কি রাশিয়ার প্রধান আলোচকের ভূমিকা রেখেছেন।

এরপর ৩ মার্চ বেলোভেজকায়া পুশচায়ে তাদের দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়েছে। এতে বড় ধরনের সফলতা না এলেও মানবিক করিডর গঠনে একমত হয়েছে দুপক্ষ।

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (৫ মার্চ) রাশিয়ার জাতীয় এয়ারলাইনস এয়ারোফ্লটের এয়ারহোস্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ইউক্রেনে উড়াল-নিষিদ্ধ এলাকা ঘোষণার অর্থ হচ্ছে, সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, যা বিশ্বের জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসবে।

ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত ও নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে রুশভাষীদের রক্ষায় এই বিশেষ সামরিক অভিযান বলে তিনি মন্তব্য করেন। রাশিয়ায় কোনো সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা নেই বলেও জানান পুতিন।

তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ কেবল বহিরাগত আগ্রাসনের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়। সামরিক তৎপরতার এলাকা নির্ধারণে এ আইন ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু আমাদের তেমন কোনো পরিস্থিতি নেই। আমাদের তেমন কিছু হবে না বলেই আশা করছি।

Share: