যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে রুশ-ইউক্রেন দ্বিতীয় দফা বৈঠক আজ

যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে রুশ ও ইউক্রেনিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনা বুধবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিনিধি দল আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি আবারও রাশিয়ার প্রধান আলোচক হবেন, রিপোর্ট বলছে।

আলোচনা কোথায় হতে পারে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তের গোমেলে দুই পক্ষের প্রথম বৈঠক হয়। প্রথম দফার আলোচনা কোনো সমঝোতা বা সিদ্ধান্তে আসেনি দুপক্ষ। দ্বিতীয় দফার আলোচনায় কোনো ফল আসে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আগের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পেরেছে দুই পক্ষ।

আজকের বৈঠকের আগের সেই বিষয়গুলো নিয়ে শলাপরামর্শ করতে আবারও একত্র হবেন তারা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা করা। সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছাতে কয়েকটি অগ্রাধিকারের বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই পক্ষ।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও বলেন, যেসব বিষয়ের ওপর ভর করে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেসব বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই দেশের প্রতিনিধিদল।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। মেদিনস্কি বলেন, বেলারুশ ও পোল্যান্ডের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চলে পরবর্তী দফার বৈঠক হবে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইউক্রেনে শুরু হওয়া রুশ হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ১৩৬ জন নিহত হয়েছে। তবে ইউক্রেন বলছে, নিহত ব্যক্তির সংখ্যা সাড়ে ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে।

যুদ্ধ থেকে প্রাণে বাঁচতে ছয় লাখ ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে যেতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বিষয়ে আগামী সোমবার গণশুনানি শুরু করবেন হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

Share: