আরমান হোসেন ইমনঃ
সবক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর ধারায় এবার যুক্ত হলো জাতীয় পরিচয়পত্র। এখন থেকে তাদের এনআইডি কার্ডেও লেখা থাকবে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা। আর নির্বাচন কমিশনও বলছে, তাদের মেয়াদে এটি একটি বড় অর্জন। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়টি এখন আর মুখে বলে দিতে হবে না। রাষ্ট্র তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিচয় খোদাই করে দিয়েছে জাতীয় পরিচয় পত্রে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বিশেষ এই এনআইডি কার্ড তুলে দেয় নির্বাচন কমিশন।আর ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত প্রথম স্মার্টকার্ড পেয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর।
বিশেষ এই ক্ষণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবেআপ্লুত হয়ে পড়েন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন নিজের সেক্টর কমান্ডার বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমরের সঙ্গে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমাদের ক্ষুদ্র আয়োজনকে মহৎ করে তুলেছেন আপনারাই (মুক্তিযোদ্ধ)। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। একই সময়ে নিজের সেক্টর কমান্ডার বিএনপি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমরকে স্যালুট দিয়ে সম্মান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেন, বাংলাদেশের সব মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
দলমত ভুলে এই বিশেষ আয়োজনে অনুষ্ঠান যেনো পরিণত হয় মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলায়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে হলেও জাতীর এই বীর সন্তানদের সম্মানিত করে একদিকে যেমন গর্বিত কমিশন। তেমনই গর্বের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।
শেষ ভালো যার সবভালো তার। তাইতো এই কমিশনের সমালোচনাকারীরাও গেয়েছেন গুণগান।
একই সময়ে মুজিব শতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার নামে উৎসর্গকৃত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বাংলা পাঠ ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উম্মোচন করা হয়।