সিন্ডিকেটের কবলে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

শাফিউল বাশারঃ

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটের কবলে আটকে রয়েছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) একাংশ সম্মিলিত সমন্বয় ফ্রন্ট দাবি জানিয়েছে, সিন্ডিকেট গড়ে তোলা চিহ্নিত ১০টি এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দিতে হবে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বিজয়নগরে একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দাবি জানান ফ্রন্টের নেতারা।

এসময় ফ্রন্টের সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক জানান, বর্তমানে মালেয়শিয়ার বাজারে ১০ লাখ শ্রমিক রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগের সবটুকু দখলে রাখতে জনশক্তি রফতানিকারক ২৫টি এজেন্সি একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এর আগে ২০১৬-১৭ সালে ১০টি এজেন্সির একটি সিন্ডিকেট মালেয়শিয়ায় জনশক্তি রফতানি করেছে। এ ১০টি এজেন্সিই এবার ২৫ প্রতিষ্ঠানের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। যদিও ২৫০ থেকে ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লোক পাঠানোর কথা বলে আসছে তারা, তবে এসব প্রতিষ্ঠানও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লোক পাঠানো হলে একদিকে যেমন বিদেশগামীদের অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হবে তেমনি এজেন্সিগুলো ২০ হাজার কোটি টাকা লুট করার সুযোগ পাবে বলেও দাবি করেন ফ্রন্টের সভাপতি।

এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চিহ্নিত এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ সভায় জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ায় ১৫ লাখ শ্রমিক রফতানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১০টি এজেন্সির সিন্ডিকেটের কারণে সে বছর মালয়েশিয়ায় ২ লাখ ৭৫ হাজার শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। জনপ্রতি ৩৭ হাজার টাকা অভিবাসন ফি নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয়েছিল সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ টাকা। দেড় হাজারের বেশি সক্রিয় লাইসেন্স থাকলেও সে বছর ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে লোক পাঠানোর কারণে এসব দুর্নীতি করা সম্ভব হয়েছিল।

এসময় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে আর কোনো সিন্ডিকেট গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার দেন রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান।

এ বিষয়ে ফ্রন্টের মহাসচিব মোস্তফা মাহমুদ জানান, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্বচ্ছ তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয় না।

Share: