‘চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের মূলে রয়েছে যুদ্ধের ইতিহাস’

দিলরুবা আক্তার/প্রেস ওয়াচ ডেস্কঃ

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) সাবেক সচিব পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, চীন ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্বন্ধ শুরু হয়েছিল ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর, যখন এই দুই দেশই ভারতকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা এএনআই স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, পাকিস্তান তার নিজের জন্ম নিয়েও কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, যা ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

‘আজ, এটি আরও শক্তিশালী এই কারণে যে পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারিয়েছে। আরব সাগর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য চীনের নিজস্ব কৌশলগত কিছু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে যাকে আমরা বলি মালাক্কা ডাইলেমা, কারণ এর অর্থনীতি বেড়েছে। এটা অনেক বেশি স্বাধীন হয়েছে। এটিই যে ভূ-রাজনৈতিক এবং ভূ-অর্থনীতির কারণে তারা কাছাকাছি এসেছে’, যোগ করেন তিনি।

পিনাক রঞ্জন বলেন, আমি মনে করি চীন-পাকিস্তানের প্রবেশাধিকার ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পরে শুরু হয়েছিল, যখন উভয় পক্ষই অনুভব করেছিল যে ভারতকে শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। পাকিস্তান যেকোনো ক্ষেত্রেই বৈরী ছিল। অনির্ধারিত সীমান্তের বিভিন্ন বিষয় পরিষ্কার হওয়ায় চীনও শত্রু হয়ে উঠেছে। গত ৪-৫ দশকে চীন ও পাকিস্তান একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে যা তাদের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই সচিব আরও বলেন, ভারত শত্রুদেশ দ্বারা বেষ্টিত, সেটি এমন যে পরিবেষ্টিত শব্দটি সম্ভবত এ ক্ষেত্রে সঠিক শব্দ নয়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের পশ্চিমে এবং উত্তরে চীন ও পাকিস্তান অবশ্যই শত্রু হিসেবে রয়েছে। কিন্তু ডাইলেমা অনুযায়ী আবারও চীন ও ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, কিন্তু সবার মধ্যে বাণিজ্য চলছে।

তিনি বলেন, যা ঘটছে এটি অবশ্যই একটি ভূ-রাজনৈতিক খেলা, যা চীন এবং পাকিস্তান খেলছে। তবে এর পেছনে রয়েছেন প্রধানত চীন, কারণ পাকিস্তানের কাছে এটি করার জন্য আর্থিক শক্তি নেই। পাকিস্তানের উগ্র মৌলবাদী ইসলামিক নেটওয়ার্ক আছে। এদেরকে পাকিস্তান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যেখানে চীন কূটনৈতিক ফাঁদ হিসেবে আর্থিক এবং অন্যান্য সাহায্যের মাধ্যমে তার শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

Share: