দিলরুবা আক্তার/ ডেস্ক রিপোর্টঃ
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে গত এক বছরে অন্তত এক হাজার ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রবিনা শামদাসানি বলেন, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের কারাগারে আট হাজার ৭৯২ জনসহ বেআইনিভাবে আটক হয়েছে অন্তত ১১ হাজার ৭৮৭ জন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক জাতিসংঘ ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বেআইনির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শামদাসানি।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, অনলাইনে কার্যক্রম, এমনকী কথা বলার জন্য মানুষকে এভাবে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শামদাসানি বলেন, আমরা এক হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যু নথিভুক্ত করেছি। তবে এই হিসাব কেবল বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে করা হয়েছে। এর মধ্যেসেনাবাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনে মারা যাওয়া ২০০ মানুষ রয়েছে।
তিনি বলেন, নিহত এই এক হাজার ৫০০ মানুষের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতে মারা যাওয়াদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
সামরিক অভ্যুত্থানের এক বছরেও শান্তি ফেরেনি মিয়ানমারে। ২০২১ সালের এক ফেব্রুয়ারি দেশটির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে গৃহবন্দি করে ক্ষমতা দখলে নেয় সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের পর জান্তাবিরোধী আন্দোলন হলেও সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে চড়া মূল্য দিতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। সেনা অভ্যুত্থানের এক বছরের মাথায় দেশটির প্রধান বিচারপতি ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানসহ ৮ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ব্রিটেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলছে, সামরিক অভ্যুত্থানের পর গত এক বছরে মিয়ানমারে চাকরি হারিয়েছেন ১৬ লাখ মানুষ। চলমান সশস্ত্র সংঘাত, সহিংসতা ও অনিরাপত্তার কারণে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ কৃষকের ওপর। দেশটিতে বেড়েছে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা, কমেছে জীবিকা।