আইরিন নাহার/প্রেসওয়াচঃ ড. কলিমউল্লাহ বলেছেন,
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল।
বাঙালী জাতিকে পাকিস্তানের বৈষম্য থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেই তিনি আধুনিক রাষ্ট্রের ভিত্তি মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সংস্কার ও জনকল্যাণমূলক নীতি গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধুর প্রণীত নীতির ও পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি চলমান রয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৪ আগস্ট তারিখে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ওয়েবেনার জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ একথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও ;র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভারত থেকে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন টিভি ব্যক্তিত্ব, কলামিস্ট ও গবেষক পিনাকী ভট্রাচার্য। জনাব ভট্টাচার্য বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের শাসন ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতিকে এ ভাষণের মাধ্যমে উজ্জীবিত করে তোলেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জনাব মিহির বিশ্বাস। তিনি বঙ্গবন্ধুর পরিবেশ ভাবনা ও চিন্তার তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন। জনাব বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে বাঙালী জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পেরেছে। পরিবেশের গুরুত্ব উপলব্দি করেই বঙ্গবন্ধু বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চালু করেছিলেন।
আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জনাব দেওয়ান নুসরাত জাহান। তিনি বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা ও নীতি নিয়ে আলোচনা করেন। জনাব জাহান বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষির গুরুত্ব উপলব্দি করে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতে কৃষিকে অন্তর্ভূক্ত করার পাশাপাশি বাজেটে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেন।
অত্র আলোচনা সভায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার, লেখক ও গবেষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি ও ভাবনা নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
জনাব রহমান বলেন, জাতির পিতার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও প্রজ্ঞার কারণে বাংলাদেশ বৈশ্বিক পরিমন্ডলে নিজস্ব পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিকল্পে জাতিসংঘসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। এছাড়াও তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশ ১১৬টি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায়।
এছাড়াও আজকের আলোচনা সভায় ভারত থেকে সংযুক্ত ছিলেন শ্রীমতি উর্বশী গুপ্তা।
শাফিউল বাশার/প্রেস ওয়াচ