তাইওয়ান ইস্যুতে চীনে পারমাণবিক হামলার কথা ভেবেছিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রেসওয়াচ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের সমরবিদরা ১৯৫৮ সালে তাইওয়ানে চীনা কমিউনিস্টি বাহিনীর সম্ভাব্য দখল অভিযান ঠেকাতে চীনের মূল ভূখণ্ডে পারমাণবিক হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। সাবেক মার্কিন সামরিক বিশ্লেষক ড্যানিয়েল এলসবার্গ পেন্টাগন পেপার্স নামের গোপন নথি বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয়েছে। এলসবার্গ অনলাইনে গোপন নথির কিছু অংশ প্রকাশ করেছেন। এর আগে ১৯৭৫ সালে এসব রাষ্ট্রীয় নথির একাংশ প্রকাশিত হয়েছিল।

৯০ বছর বয়স্ক এলবার্গ ১৯৭১ সালে মার্কিন টপ সিক্রেট নথি পেন্টাগন পেপার্স ফাঁস করেছিলেন। এসব নথি ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধের ওপর পেন্টাগনের পর্যালোচনা।

১৯৫৮ সালে কমিউনিস্ট শক্তি তাইওয়ান নিয়ন্ত্রিত দ্বীপে গোলাবর্ষণ বন্ধ করে চিয়াংকাইশেকের জাতীয়তাবাদী বাহিনীর কাছে নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিলে সংকটের অবসান হয়েছিল।

তাইওয়ানকে একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। তারা মনে করে, এটি একটি মূল ভূণ্ডের অঙ্গীভূত হবে, প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে। ১৯৭৯ সালে বেইজিংকে স্বীকৃতি দেয় ওয়াশিংটন। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গেও সম্পর্ক অব্যাহত রেখে যাচ্ছে দেশটি।

ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন পরিকল্পনাবিদরা আশঙ্কা করছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়ন চীনকে সহযোগিতা করবে এবং পাল্টা হামলাও হবে পারমাণবিক। তবে তাইওয়ানকে রক্ষায় এই ঝুঁকি নিতে তারা সম্মত ছিলেন।

এলসবার্গ নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ১৯৭০-এর দশকে তিনি তাইওয়ান সংকট নিয়ে পর্যালোচনা কপি করে রেখেছিলেন। এখন তাইওয়ান নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে তখন সেগুলো প্রকাশ করছেন।

নথিটির লেখক লিখেছেন, ওই সময় মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল নাথান টুইনিং স্পষ্ট করেছেন যে, দখল অভিযান হলে চীনের বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক হামলা চালাবে যাতে চীনা বিমান হামলা ঠেকানো যায়।

জেনারেল টুইনিংকে উদ্ধৃত করে ওই নথিতে বলা হয়েছে, এতেও যদি দখল অভিযান না থামে তাহলে চীনের সাংহাই পর্যন্ত পারমাণবিক হামলা চালানো ছাড়া উপায় নেই।

তবে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার প্রচলিত অস্ত্রের ওপরেই আস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

Share: