প্রেসওয়াচ রিপোর্ট /২১ মে,২০২১,মাহবুবুল হক,ফারজানা,মাহবুব বাশার॥ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। তিনি ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
শুক্রবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক শোকবার্তায় ডিএসসিসি মেয়র বলেন, তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন এবং সবসময় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড ডিএসসিসির নবসংযুক্ত ওয়ার্ডসমূহের একটি হওয়ায় তিনি কাউন্সিলর হিসেবে তার ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নে বেশ সোচ্চার ছিলেন।
শোকবার্তায় তাপস বলেন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলীয় গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি পরপর দুবার করপোরেশনের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সর্বদা সচেষ্ট মো. শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে করপোরেশনের উন্নয়ন ও অগ্রগতির যাত্রা পথে আমি এক নির্ভরযোগ্য সহযোগীকে হারালাম।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌেধুরী ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন,”কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মানুষের সুখে-দুঃখে সবার আগে থাকতেন; সবসময় দরিদ্র মানুষের সমস্যা নিয়ে এগিয়ে আসতেন।।
শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দলের সীমানা পেরিয়ে পুরো ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডবাসীরই আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।”
সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌেধুরী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডিএসসিসির কাউন্সিলর লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রেখেছেন অসামান্য অবদান। তার মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক ও বাহক একজন লড়াকু নেতাকে আমরা হারালাম এবং রাজনীতিতে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা অপূরণীয়।”
ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজর আলী সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে বৃহত্তর ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবীন বাসিন্দা ডিএনডি শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি এম এ রউফ নবাব গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি এক শোক বার্তায় বলেন, তিনি শুধু ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের উন্নয়নে কাজ করেননি ঢাকা শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ সংগ্রাম কমিটির অন্যতম সংঘটক ছিলেন । সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও এলাকার উন্নয়নে তার নিরলস প্রচেষ্টা অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। করোনায় জীবনের ঝুকি নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন সুবিধা বঞ্চিতদের দুয়ারে দুয়ারে । বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কবি এম এ রউফ নবাব শফিকুল ইসলামের মৃত্যুকে শাহাদাতীয় মৃত্যু বলে উল্লেখ করেন। তিনি এই কর্মবীরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সন্মানের নিদর্শন স্বরূপ কোনাপাড়া- শেখের জায়গা ওয়াপদা সড়কটিকে শফিকুল ইসলাম সড়ক নামকরণের দাবি জানান।
ঢাকা দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশে বিদেশে অগণিত শুভানধ্যায়ীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করে চলেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্বরা শোক প্রকাশ করেছেন।
প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ[র পিজিডি জার্নালিস্টস এলামনাই এ্যাসোসিয়েশন ‘র ভিপি ও ভারতের তারা টেলিভিশনের সাবেক নিউজ এন্ড প্রোগ্রাম প্রোডিউসার দিপু সিদ্দিকী কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় দিপু সিদ্দিকী বলেন,]’শফিকুল ইসলামের মতো একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ, একজন দক্ষ জনপ্রতিনিধিকে হারিয়ে এলাকা তথা ডিএসসিসি র অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি দুইবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।”তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জনপ্রিয়, নন্দিত নেতার নাম শফিকুল ইসলাম । দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসত, ভরসা রাখত তার উপর । তিনিও মানুষকে ভালোবাসতে জানতেন।”
”আমার সাংবাদিকতার জীবনে বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে । পরিচয় হয়েছে তাদের কর্ম ধারার সঙ্গে । সে দৃষ্টিতে শফিকুল ইসলাম ছিলেন সেরাদের অন্যতম । তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে মাটির মানুষ ।সরল মানুষ । তাকে নিয়ে একটি ফিচার ফিল্ম নির্মাণের ইচ্ছে ছিল ।সেতো অধরাই থেকে গেল। সারা জীবন তিনি সম্প্রীতির রাজনীতি করেছেন। মারামারি খুনোখুনি পছন্দ করতেন না। তিনি কখনও প্রতিহিংসার রাজনীতি করতেন না । শফিকুল ইসলাম তার দূরদর্শিতায় গণমানুষের সাথে যে আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করে গেছেন এলাকাবাসী তা কখনও ভুলবে না।”
দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে এ্যাসোসিয়েশন অব হোমিওপ্যাথিক এন্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ,শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শেষ দর্শনের জন্য মানিকদিয়া ওয়াপদা রোড হাজার হাজার মানুষের জনারণ্যে পরিণত হয়। জানাজায় শরীক হয় হাজার হাজার জনতা।
https://www.facebook.com/watch/live/?v=870458060172690&ref=notif¬if_id=1621611592419557¬if_t=live_video
ডেইলি প্রেসওয়াচ রিপোর্টঃ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত প্রয়াত কাউন্সিলর ও দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মো. শফিকুল ইসলামের জানাজায় জনতার ঢল ।।
শেষ কথাটিও এলাকার উন্নয়নের জন্য বলেছিলেনঃ মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস
কর্মীদের জন্য তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তি ছিলেন- সাবের হোসেন চৌধুরী
২১ মেরাতে নগরীর ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকদিয়া ক্লাব সংলগ্ন মাঠে প্রয়াত কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের জানাজা পূর্ব স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্যে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ কথা জানান।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “শেষ কয়েক দিন আগে আমার সাথে দেখা করে গেলেন। আমাকে বললেন – ভাই, আমি একটু অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগগে পারে। কিন্তু তিনি শেষ কথাটিও তাঁর এলাকার উন্নয়নের জন্য বলেছেন। এলাকার কোন কাজটি করতে হবে, সে বিষয়গুলো বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন। আমি আশ্বস্থ করেছিলাম যে, অবশ্যই হবে। আপনি যেগুলো চাচ্ছেন আমরা ইনশাআল্লাহ পর্যায়ক্রমে সেগুলো করব। কিন্তু আজ এখানে দাঁড়িয়ে
শুধু সেই কথায় মনে পড়ছে – তিনি দেখে যেতে পারলেন না।”