আইরিন নাহার,ডেইলি প্রেস ওয়াচঃ আজ ১৪ মে ২০২১,শুক্রবার মহান কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহামারি করোনার কারণে এবার তার মৃত্যুবার্ষিকীতে কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন নেই। অবস্থার উন্নতি সাপেক্ষে পরর্বতীতে অনুষ্ঠানের তারিখ ও স্থানের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। https://www.facebook.com/100002233375987/videos/3882888755128865/
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে একটি স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান বিটিভি তে সম্প্রচার করা হবে আজ ঈদের দিন বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিটে।
কথাশিল্পী শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আহমদ রফিক এ সময়ে সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মহামারির ফলে, অকালে ঝরে যাওয়া সাথীদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনও করেন।
কথাশিল্পী শওকত ওসমানের কনিষ্ঠপুত্র চলচ্চিত্র পরিচালক জা-নেসার ওসমান ১৪ মে সকাল ৯ টায় মৃত্যুবার্ষিকীতে মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে পরিবারের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ সময় কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ভক্তবৃন্দকে সমবেত না হয়ে স্বঅবস্থানে থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের আহ্বান জানান।
১৯৯৮ সালের ১৪ মে, কথাশিল্পী শওকত ওসমান, মস্তিষ্কের সেরিব্রেয়াল এ্যটাকে অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্ম পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে। তার পিতা শেখ মোহম্মদ ইয়াহিয়া, মাতাঃ গুলেজান বেগম।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কথাশিল্পী শওকত ওসমান ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারী পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায় জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিলো শেখ আজিজুর রহমান। পরে তিনি ছদ্মনাম গ্রহণ করেন শওকত ওসমান। আজ তাঁর আসল নাম শেখ আজিজুর রহমান ছদ্মনামের আড়ালে ঢাঁকা পড়েছে।
১৯৪৭ সালে, ভারত বিভাগের সময় তিনি স্বেচ্ছোয় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামের সরকারি কর্মাস কলেজে যোগদান করেন। পরর্বতীতে ১৯৫৯ সালে ঢাকা কলেজে বদলি হন এবং ১৯৭২ সালের ১লা এপ্রিল স্বেচ্ছা অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ছোটগল্প, উপন্যাস,কবিতা, নাটক, প্রবন্ধ, শিশু সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্যসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অবাধ বিচরণ করেছেন। কথাশিল্পী শওকত ওসমানের উল্লেখ্য যোগ্য উপন্যাসের মাঝে রয়েছে, জননী, ক্রীতদাসের হাসি, ঈশ্বরের প্রতিদন্ধী, জাহান্নাম হইতে বিদায়, দুই সৈনিক, ওটেন সাহেবের বাংলো, বনি আদম, পঞ্চসঙ্গী, বিশেষ রুপে উল্লেখ্য যোগ্য। এর মাঝে “জননী’ ও “ক্রীতদাসের হাসি” ধ্রুপদী সাহিত্যের পদ মর্যাদা লাভ করেছে।
তাঁর সাহিত্য কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন নাসিরুদ্দিন স্বর্ণ পদক, আদমজী, মুক্তধারা, ফিলিপস সাহিত্য, বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, স্বাধীনতা দিবস ও টেনাশিস্ পুরস্কার। প্রখ্যাত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত, কথাশিল্পী শওকত ওসমানকে বাংলার র্গোকি বলে চিহ্নিত করেন, কারণ কথাশিল্পী শওকত ওসমান আজীবন তাঁর লেখনীর মাধ্যমে নিপীড়িত জনগণের কথা বলেছেন। আর সর্বদা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেছেন।