রিমান্ডে নির্যাতন বোঝার পরও জবানবন্দি: বিচারকের ব্যাখ্যা তলব

দিলরুবা আক্তারঃ হত্যা মামলার ১৬ বছর বয়সী দশম শ্রেণির এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করায় চাঁদপুরের তৎকালীন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই কিশোরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আদালত ওই কিশোরের বয়স নির্ধারণ করতেও নির্দেশ দেন। আদালত বলেন, ‘কোনও বিচারকের দায়িত্ব জবানবন্দি নেওয়ার সময় কাউকে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

রবিবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে কিশোর আসামির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতে ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই পরদিন মামলা করলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। পরে ফরহাদ, মেহেদী ও রুবেল নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা তিন জনই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মোবাইলের জন্য সোহেলকে খুন করেছে বলে উল্লেখ করে। এই মামলায় একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর চার্জশিট দেয় পুলিশ।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জবানবন্দী গ্রহণ করলেও তিনি উল্লেখ করেন, আসামির দুই হাতের কব্জির নিচে দঁড়ি দিয়ে দীর্ঘক্ষণ বেঁধে রাখায় কালো দাগ দেখা যায়। এছাড়া পায়ের ফোলা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রিমান্ডের ভয়ে এই জবানবন্দী দিয়েছে।

এদিকে গত ৪ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে জামিন খারিজ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে এক আসামি। সেই জামিন শুনানির সময় দেখা যায় আসামির বয়স ১৬ বছর। কিন্তু চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে ১৯ বছর। পরে ওই মামলায় জামিন চেয়ে কিশোর আসামি হাইকোর্টে আবেদন জানায়।

Share: