অভয়নগর ঃ মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুই বোনকে সাত শর্তে বাড়িতে সাজাভোগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের আব্দুল গণির মেয়ে রোজিনা খাতুন ও সেলিনা খাতুন।
যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের এপিপি আইয়ুব খান বাবুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাড়িতে থেকে সাজাভোগের শর্তগুলো হলো- কোনও প্রকার অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারবেন না। শান্তি বজায় রেখে সকলের সাথে সৎ আচরণ করতে হবে। আদালত অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাকে যেকোনও সময় তলব করলে শাস্তিভোগের জন্য প্রস্তুত হয়ে নির্ধারিত স্থানে হাজির হতে হবে। কোনও প্রকার মাদক সেবন, বহন, সংরক্ষণ এবং সেবনকারী, বহনকারী ও হেফাজতকারীর সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না। আদালত কর্তৃক নিযুক্ত প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থেকে জীবনযাপনের অবস্থা অবহিত করতে হবে। একইসাথে প্রবেশন অফিসারের লিখিত অনুমতি ছাড়া নিজের এলাকার বাইরে যাওয়া যাবে না।
এর ব্যত্যয় ঘটলে আসামিদের প্রত্যেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড কারাগারে ভোগ করতে হবে।
যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের এপিপি আইয়ুব খান বাবুল জানান, ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা থেকে রোজিনা খাতুনকে ১২ পুরিয়া ও সেলিনা খাতুনকে ১০ পুরিয়া হোরোইনসহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ আদেশ দিয়েছেন।
রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, এ মামলা চলাকালে জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘ ১৪ বছরের মধ্যে আসামিরা হাজিরা দিতে গাফিলতি করেননি। এ মামলা ছাড়া তাদের নামে আর কোনও মামলা নেই। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পুনর্বাসনের জন্য শর্তসাপেক্ষে প্রবেশনে মুক্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারক।
তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে এধরনের তিনটি রায় দিয়েছেন যুগ্ম দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শিমুল কুমার বিশ্বাস।