বাংলার ক্যানভাসে শস্যচিত্রে আঁকা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে

দিপু সিদ্দিকীঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শৈল্পিক উদযাপন ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে কৃষি প্রধান সবুজ বাংলার বিশাল ক্যানভাসকে ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুকে আঁকা হচ্ছে। এটি একটি নতুন ধরনের চিত্রকর্ম যার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে কৃষি  দরদী বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি)  এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ।

১০০ বিঘা জমির উপর এই শস্যচিত্র করা হবে। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে দুই ধরনের ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা হবে

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। এই কাজে আর্থিক, কারিগরি ও লোকবলের সহায়তা দিচ্ছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ।

পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং আহবায়ক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র হিসেবে নতুন রেকর্ড গড়ার জন্য গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। এরইমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু এর ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিল গিনেজ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। আগামী ১৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে নতুন বিশ্বরেকর্ড অর্জন উদযাপন করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি জানান, ২৯ জানুয়ারি মুল ক্যানভাসে শস্যচিত্রের চারা রোপণ করা হবে। ধাপে ধাপে তৈরি করা লে আউট অনুযায়ী চারা রোপণ করা হবে। চারা রোপনের প্রতিটি ধাপে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক বিন্যাস নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কর্মপরিকল্পনায় জানানো হয়, দুই রঙের সোনালী ও বেগুনী রঙের ধানকে বেছে নেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবি আকার জন্য। জাতির পিতার এক বিশাল পোট্রেট হিসেবে এরইমধ্যে ফিল্ড ট্রায়াল দেয়া হয়েছে। জমি তৈরি করা হয়েছে চারা রোপনের জন্য।  এরমধ্যে বীজতলায় চারা রোপনের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ১০০ জন বিএনসিসি ক্যাডেটকে সাথে নিয়ে লেআউট তৈরির কাজ এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছে। আগামীকাল লেআউট অনুযায়ী চারা রোপন শুরু করা হবে। চারা থেকে হবে গাছ, ধান হবে, ধান পাকবে আর প্রতিটি ধাপেই তৈরি হবে জাতির পিতার একেক ধরনের পোট্রেট।

প্রসঙ্গত,  কৃষিজমিকে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করে,  নানা প্রজাতির ফসলের সুপুরিকল্পিত ও শৈল্পিক চাষের মাধ্যমে সৃষ্ট চিত্রকর্মকে বলা হয় ক্রপ ফিল্ড মোজাইক বা শস্য চিত্র। এসব চিত্রকর্ম এতই বড় হতে পারে যে,  সেগুলো স্যাটেলাইট থেকেও দেখা যায়।

এর আগে ২০১৯ সালে চিন একটি শস্যচিত্র তৈরি।করেছিল,  যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। বঙ্গবন্ধুর এই শস্যচিত্রের আয়তন হবে প্রায় ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট বা ১ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার। শস্যচিত্রটির দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার ও প্রস্থ ৩০০ মিটার।

Share: