উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র শতভাগ স্বচ্ছতা ও সততায় মুগ্ধ সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত মামুনের অনুভূতি

ডেইলি প্রেসওয়াচ ডেস্কঃ

আমি আব্দুল্লাহ আল মামুন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের একজন কর্মচারী। আমি এমন এক সময়ে চাকুরী পেলাম যখন করোনা মহামারীতে দেশের চাকুরীর বাজার থমকে আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গত প্রায় একবছর ধরে তেমন কোন চাকুরীর পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই আমি গত এক বছর ধরে কোন চাকুরীর পরীক্ষা দিতে পারি না। আমার ব্যক্তিজীবন ও পারিবারিক জীবন এক চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে।
একটা চাকুরী কিংবা অর্থ উপার্জনের মাধ্যম আমার জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠে।
ঠিক এমন সময় একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আমার চোখে পড়ে।
শুরুতে আমি বিজ্ঞপ্তি টি এড়িয়ে যাই। কারণ আমি জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী টাকা কিংবা লবিং ছাড়া হয় না। আমার তো টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নাই এবং লবিং করার মতো কোন লোক নাই।
তাই শুরুতে এই বিজ্ঞপ্তিটি আমি এড়িয়ে যাই।
পরবর্তীতে আমার এক বন্ধুর পরামর্শে এক প্রকার মনের বিরুদ্ধে গিয়ে ৩০০ টাকার একটি ব্যাংক পে অর্ডার করে বিজ্ঞপ্তির নিয়মমাফিক দরখাস্ত করি।
দরখাস্ত করলেও এই চাকুরী নিয়ে আমি তেমন একটা আশাবাদী ছিলাম না। তবে বিজ্ঞপ্তিতে “লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শর্টলিস্ট করা হবে এবং কোন প্রকার লিখিত ও মৌখিক তদবির প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে গণ্য হবে” লিখাটা দেখে আমার মনে সামান্য আশার সঞ্চার হয়েছিলো।

একদিন আমার মোবাইলে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচী সম্বলিত একটি এসএমএস আসলো।
আমার বিশ্বাস ছিলো যদি লিখিত পরীক্ষায় স্বচ্ছতা অবলম্বন করা হয়, তাহলে আমি লিখিত পরীক্ষায় পাশ করবো। তাই শুরু করলাম লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি। লিখিত পরীক্ষার দিন সকাল সকাল সকল পরীক্ষার্থীর মত করে আমিও চলে আসলাম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে যেখানে আমাদের পরীক্ষা হওয়ার কথা। আমার লিখিত পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে এবং আমি লিখিত পরীক্ষায় টিকলাম। আমার সাথে আরো অনেকেই লিখিত পরীক্ষায় টিকেছে। মনের মধ্যে আস্তে আস্তে আশার সঞ্চার হচ্ছে কিন্তু প্রচন্ড ভয় কাজ করছে।
কারণ আমার তদবির কিংবা টাকা দেওয়ার সামর্থ্য নাই। একই দিন ভাইভা হল এবং আমি সিলেক্ট হলাম। যখন আমি সিলেক্ট হলাম তখন আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা একটা স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমি ভাইবায় সিলেক্ট হয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ!

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও মহোদয় শতভাগ সততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমেই আমাকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে নিয়োগ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আমার দীর্ঘদিনের চিন্তা ভাবনা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও মহোদয় ভুল প্রমাণিত করে দিলেন।

প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও মহোদয়ের মতো ভালো মানুষ যদি বাংলাদেশের প্রতিটা সেক্টরে থাকতো তাহলে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত।

আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।

আব্দুল্লাহ আল মামুন
কর্মচারী,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এবং
সদস্য,
নবপ্রজন্ম কর্মচারী পরিষদ,
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Share: