ব্যারিস্টার রফিক উল হক রাজধানীর আদ-দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আদ-দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মহাসচিব ডা. নাহিদ ইয়াসমীন বুধবার (২১ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. নাহিদ ইয়াসমীন বলেন, ‘তার অক্সিজেন লেভেল ও উচ্চ রক্তচাপ কমে গিয়ে শকে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাতে ভেন্টিলেটরে দেওয়ার পর তার অবস্থার আর অবনতি হয়নি, তবে তার অবস্থা জটিল, তিনি সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছেন।’
ব্যারিস্টার রফিক উল হক কবে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জানতে চাইলে ডা. ইয়াসমীন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। সেই হিসেবে বাসা থেকে তার অবস্থা খারাপ জানানো হলে হাসপাতাল থেকে তার বাসায় চিকিৎসক যান। তার জ্বর ছিল এবং খাচ্ছিলেন না। তারপর তাকে হাসপাতালে এনে ব্ল্যাড এবং ইউরিন পরীক্ষা করানো হয়। ইউরিন টেস্টে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের মাত্রা ছিল অনেক বেশি। তার রক্তশূন্যতা এবং বাম হাত দুর্বল ছিল। তখনই সিটি স্ক্যানে ধরা পড়ে ইতোমধ্যে তার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে বার্ধক্যজনিত অনেক জটিলতাও ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সব চিকিৎসা শুরু করার পর একটু উন্নতি হচ্ছিল।কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাকে লাইফ সাপোর্ট দিতেই হলো। তার করোনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছে।’
ডা. ইয়াসমীন জানান, আদ-দ্বীন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রিচমন্ড রোনাল্ড গোমেজের অধীনে ভর্তি হন ব্যারিস্টার রফিক উল হক। পরে তার নেতৃত্বে কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরো মেডিসিন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে। যেহেতু তার স্ট্রোক হয়েছে তাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ নিজে এসে দেখে তাকে গেছেন এবং তিনিও চিকিৎসার বিষয়ে গাইড করছেন, বলেন ডা. নাহিদ ইয়াসমীন।