বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে ২০১৭ সালের ১৪জুন দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার। জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত স্যার তাঁর ব্যক্তিত্ব, গুণ ও কর্মে সুধীজনসহ সকলের কাছে সমাদৃত। তিনি একজন সুদক্ষ প্রশাসক ও একাডেমিক বিশেষজ্ঞ।স্যার যোগদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর তাঁর যুগপোযোগী পদক্ষেপ ও উদ্ভাবনী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক উন্নয়নে। তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বেরোবি, রংপুর-কে একটি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্যারকে সব সময় দেখেছি তিনি কাজে বিশ্বাসী। তিনি নিজে আগে কাজ করেন এবং পরে তা দেখিয়ে দেন।তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করে প্রথমেই নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া।বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য মহোদয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
নবনিযুক্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাঃ বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সকল দেশেই প্রতিটি চাকুরির ক্ষেত্রে নবনিযুক্ত ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য কোনো প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু ছিল না (যদিও প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য যথাক্রমে পিটিআই, বিএড, এমএড কোর্স এবং নায়েম ট্রেইনিং কোর্স চালু রয়েছে)। বিশ্বের অনেক দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এ প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার শিক্ষকদের জন্য ছয় মাস, কর্মকর্তাদের জন্য চার মাস এবং কর্মচারীদের জন্য দুই মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালু করেন । অতি শীঘ্রই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বলে কয়েকটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক কাঠামো কার্যকরকরণঃ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ১২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ প্রশাসনিক কাঠামো কার্যকর করতে পেরেছে। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের সময়ে মহামান্য আচার্য ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে এই প্রথম উপ-উপাচার্য এবং কোষাধক্ষ্য নিয়োগ লাভ করেছেন। ক্ষমতা ও দায়িত্ব বিকেন্দ্রীকরণ করে বর্তমান উপচার্য আরেকটি অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
ই-ফাইলিং, ই-টেন্ডার ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশনঃ উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেই তিনি প্রশাসনিক কার্যক্রমের সর্বস্তরে ডিজিটাল ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন। পুরো ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনয়ন, ই-ফাইলিং ও ই-টেন্ডার চালুকরণ, ক্যাম্পাস রেডিও সম্প্রচার, ফাইল ট্র্যাকিং এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মকর্তাদের জন্য মোবাইল ভাতার বরাদ্দকরণ।করোনা মহামারির কারনে ডিজিটালাইজেশন এর সম্পূর্ণ সুবিধা আজ ভোগ করতে পারছি ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বর্তমান উপাচার্য হিসেবে প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের গৃহীত এ সকল গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। তাই আমাদের সকলের উচিত আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব ত্যাগ করে বেরোবি, রংপুর এর সামগ্রিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরও অধিক বেগবান করার জন্য বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যারের সাথে একযোগে কাজ করা ।
এ, কে, এম, কাজী সাজ্জাদ হোসেন
সহকারী অধ্যাপক
গণিত বিভাগ
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।