বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের গ্রেড-১ প্রফেসর ও জানিপপ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও স্যার অত্র প্রতিষ্ঠানের চতুর্থ উপাচার্যের দায়িত্ব প্রাপ্তির মাধ্যমে । স্যার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত নবনিযুক্ত শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের জন্য ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং এবং কর্মচারীদের জন্য ইন্ডাকশন ট্রেইনিং চালু করেছেন। এই ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং এর কল্যাণে আমার স্যারের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়েছে, এজন্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। স্যার নিজের ব্যস্ত শিডিউল এর মধ্যেও আমাদের জন্য সময় দিয়েছেন ও নিয়মিত খোঁজ-খবর নিয়েছেন। দেশ-বিদেশের ইতিহাসের পরিক্রমা এবং রাজনীতি বিষয়ে স্যারের বিশ্লেষণ, দৃষ্টিভঙ্গি আমাকে মুগ্ধ করেছে। স্যার প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে যেমন সক্রিয় তেমনি জ্ঞানপিপাসু একজন মানুষ। স্যার করোনাকালীন সময়েও যেভাবে গবেষণার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তা সকলের জন্য অনুকরণীয়। স্যারের লিডারশীপ ও কমিউনিকেশন স্কিল এর কথা উল্লেখ না করলেই নয়। তাঁর অপ্রতিম ব্যক্তিত্ব এবং চিন্তাচেতনার মাধ্যমে তিনি সবারই অনেক আপন একজন মানুষ হয়ে যান।
স্যার তাঁর উন্নত ও অগ্রসর চিন্তার ফলে শুরু থেকেই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-কে একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে নতুন আবাসিক হল ‘শেখ হাসিনা ছাত্রী হল’ নির্মাণ, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এণ্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট এর ভবন নির্মান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ম্যুরাল স্থাপন, ক্লাসরুম ডিজিটালাইজেশন, ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ভেইকেল ট্র‍্যাকিং সিস্টেম চালু, সময়মত শিক্ষা সফরের জন্য বাজেট বরাদ্দ করা, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা, ই- ফাইলিং, দক্ষ আইসিটি সেল গঠন, শিক্ষার্থীদের বহুল প্রতীক্ষিত মেইন গেট নির্মাণ এর উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি অবকাঠামোগত পরিবর্তন বা উন্নয়ন অল্প কিছু উদাহরণ। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনায়, এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস যেমনঃ বিএনসিসি এর শাখা খোলা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যে প্রথম ইউএন উইমেন ও সিপিজে এর উদ্যোগে উইমেন পিস ক্যাফে (WPC) এর শাখা খোলার মাধ্যমে তিনি শিক্ষার্থীদের যথাযথ বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন।
স্যার শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগে বিশ্বাসী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিবেট ফোরাম BRUDA এর উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন আলোচনায় শিক্ষার্থীদের সাথে একাধিকবার অংশগ্রহণ করেছেন, শিক্ষার্থীদের আশা- আকাঙ্ক্ষার কথা শুনেছেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। স্যারকে নিয়ে ব্যক্তি হিসেবে বা তাঁর কর্মজীবন নিয়ে যে দৃষ্টিকোণ থেকেই কথা বলা হোক না কেন তা শেষ হবে না। আশা করছি তিনি তাঁর নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও দক্ষ পরিচালনার মধ্য দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবেন। তিনি যেভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে এবং একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন তা অনুকরণীয়। তাঁর মত একজন পরিশ্রমী, সৎ ও মেধাবী মানুষের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে যেন দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারি এ প্রত্যাশা রাখি। স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

ইফ্ফাত আরা বাঁধন
প্রভাষক, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ;
অস্থায়ী ভারপ্রাপ্ত প্লাটুন কমান্ডার, বিএনসিসি, বেরোবি, রংপুর;
মেন্টর,উইমেন পিস ক্যাফে;
সদস্য সচিব, বঙ্গমাতা পরিষদ;
নির্বাহী সদস্য, নবপ্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ;
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।

Share: