একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (১৫ আগস্ট) পৃথক বার্তায় এই শোক প্রকাশ করেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মুর্তজা বশীরের মৃত্যু দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার সৃষ্টি ও কর্ম তরুণ প্রজন্মের জন্য চিরকাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’ রাষ্ট্রপতি মরহুম মুর্তজা বশীরের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এদিকে এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের চিত্রকলার বিকাশে মুর্তজা বশীর যে অনন্য অবদান রেখেছেন তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে।’ প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর শনিবার ( ১৫ আগস্ট) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতালে) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
তার মেয়ে মুনীরা বশীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাবার আগে থেকেই অন্যান্য সমস্যা ছিল। গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকালে হাসপাতাল থেকে জানায়, বাবার করোনা পজিটিভ এসেছে।’
মুনীরা বশীর জানান, ‘এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল। আইসিইউতেও ছিলেন তিনি। ফুসফুস, কিডনি সমস্যার পাশাপাশি তার হৃদরোগও ছিল।’
উল্লেখ্য, চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট ও ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী মুর্তজা বশীরের জন্ম ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট। উপমহাদেশের প্রখ্যাত বহুভাষাবিদ, জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্’র সন্তান তিনি। ১৯৪৯ সালে ঢাকা আর্ট কলেজে (বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউট) ভর্তি হন মুর্তজা বশীর। এর আগে থেকেই তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এজন্য কারাভোগও করেন তিনি।
২০১৭ সালে তার স্ত্রী আমিনা বশীর মারা যাওয়ার পর তিনি আমিনা বশীর স্মৃতি ফান্ড ট্রাস্ট গঠন করেন। তার দুই মেয়ে মুনীরা বশীর ও মুনীজা বশীর এবং ছেলে মেহরাজ বশীর।