ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ’র সফর ও পরিদর্শনের কারণে দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল দেশের বহুল আলোচিত ছিট মহল দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় প্রবেশ পথ তিনবিঘা করিডোর।
শুক্রবার (০৬ মে ) সকাল সাড়ে নয়টায় তিনবিঘা করিডোর পরিদর্শনে আসার কথা থাকলেও অমিত শাহ সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে পৌঁছান। অমিত শাহ ও তার সফর সঙ্গীরা ভারতীয় একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে তিনবিঘা করিডোরের হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করেন।
পরে তিনি মাইক্রোবাসে করে তিনবিঘা করিডোর এলাকায় আসেন। অমিত শাহ সেখানে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়সহ ভারতের আভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএসএফের আইজি অজয় কুমার সিং, জলপাই গুড়ি সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার বিজয় মেহতা, কুচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা। পরে ১টা ১৮ মিনিটে তিনবিঘা করিডোর ত্যাগ করেন ।
এদিকে অমিত শাহের আগমনে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে তিনবিঘা করিডোর। এ সময়ে প্রয়োজনীয় কাজে দেশের মুল ভূখণ্ডে আসা- যাওয়া করতে পারেনি ছিট মহলের মানুষ।
৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এএফএম আজমল হেসেন খান জানান, তিনবিঘা করিডোরের গেট দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখার বিষয়ে বিএসএফ তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, দহগ্রাম আঙ্গরপোতার মানুষের জন্য ১৯৯২ সালের ২৬ জুন ইজারার মাধ্যমে ভাতর সরকার তিনবিঘা করিডোর বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়। সে সময়ে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে এক ঘণ্টা পর পর বাললাদেশিদের যাতায়াতের জন্য করিডোর খুলে দিত বিএসএফ সদস্যরা।
এরপর করিডেরটির মূল ফটক টানা সকাল সন্ধ্যা খোলা রাখার দাবি তোলা হলে ২০০১ সালের ২৭ জুন থেকে তা কার্যকর হয়। এরপর ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শেখ হাসিনা ও মনমোহন বৈঠকের সফল বাস্তবায়নে ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা হয়।