তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ, থাকবে আরও কয়েকদিন

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। এর মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজধানীবাসীর। আবহাওয়া অফিস বলছে, গরমের এই তীব্রতা থাকবে আরও কয়েকদিন।

এদিকে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকলেও দেশের বাকি এলাকায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপদাহ।


সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছে ঢাকাবাসী। একে তো গরম, সেই সঙ্গে যানজট। তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির আশপাশে থাকলেও অনুভূত হচ্ছে ৪০ ডিগ্রির মতো। রমজান মাস চলায় কষ্টটা আরও বেড়েছে।

চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত ৮টি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এরমধ্যে দুটি রূপ নিয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে। গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রিতে, যা ছিল গত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর রোববার (২৪ এপ্রিল) রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মৌসুমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

গত সপ্তাহে কালবৈশাখি ঝড়-বৃষ্টির পর কমেনি সূর্যের তেজ। ঈদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কর্মব্যস্ত দিন পার করছেন নগরবাসী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে অসহনীয় অবস্থা তো অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তীব্র গরম। হাঁসফাঁস অবস্থা কাজে বের হওয়া মানুষের। এরমধ্যেই দুদণ্ড জিরিয়ে নিয়ে ক্লান্তি কাটানোর চেষ্টা পথিকের। ধুলো ও গরমের তীব্রতা সামাল দিতে রাস্তায় ওয়াটার ক্যানন স্প্রের মাধ্যমে জলীয়বাষ্প ছিটাচ্ছে সিটি করপোরেশন।

সাইফুর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, গরমের কারণে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। এতে আয়ও কমে গেছে। 
এক পথচারী জানান, অনেক গরম সহ্য করার মতো না। আর রাস্তায় যানজটের কারণে আরও বেশি কষ্ট হচ্ছে।
 
আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক কাওসার পারভীন সময় সংবাদকে জানান, গরমের এ তীব্রতা থাকবে আরও কয়েকদিন। তাই বাইরে চলাফেরা করার সময় সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও জানান,  বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ; রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা বিভাগ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।  অর্থাৎ চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগ বাদে দেশের অন্য বিভাগগুলোতে তীব্র থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
 
আগামী বুধ-বৃহস্পতিবারের  দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। সে সময় গরম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।
Share: