করোনা ভাইরাস পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। বদলে দিয়েছে মানুষের প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি। করোনাকালে ঈদ শুভেচ্ছার ধরণও বদলে গিয়েছে।
রবিবার (২ আগস্ট) দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপে এসব কথা আলোচকরা। সংলাপে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. হারুন-উর-রসীদ আসকারী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় অনুষ্ঠানের সঞ্চলনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ঈদ বরাবরি আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। কিন্তু ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। হজরত ইব্রাহিম আঃ থেকে যে ট্র্যাডিশন শুরু হয়ে আছে তারাই ধারাবাহিকতায় আমরা তিন দিন করে ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। ঈদুল আজহার পাশাপাশি আমাদের শোকাবহ আগস্ট মাস শুরু হয়েছে। এক মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এই করোনাকালে শোকাবহ মাসের শুরুতেই ঈদুল আজহা উপভোগ করেছি আমরা। এরমধ্যে আমাকে যে বিষয়টি বেশি অবসাদে ভুগিয়েছে সেটি হল বন্যা। প্রেডিকশন করা হয়েছে এবারে বন্যা ১৯৮৮ সালের বন্যাকেও হার মানাবে। একদিকে করোনার ভয়াল থাবা, আরেকদিকে বন্যার করাল গ্রাস এর মধ্যেই আমরা বেদনাদায়ক অগাস্ট মাসে প্রবেশ করেছি। এর মধ্যে আবার বঙ্গবন্ধুর যে জন্মশত বার্ষিকী সেটা এই ২০২০ সালেই। এবার আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বেগম রোকেয়া ও তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন সাহেবের নামে কোরবানি দিয়েছি। এবং আমরা যে ট্র্যাডিশন শুরু করেছি তা সামনেও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবো। এবার তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পানির যে উচ্চতা বাড়ছে এবং এই বন্যা যদি দীর্ঘতা পায় তাহলে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবলে, বন্যা-প্লাবন যায় আসুক না কেন বাঙালি তা মোকাবেলা করে যাবে।