জাতির পিতা সবসময়ই ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতেন: ড. কলিমউল্লাহ

সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৪৭ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।

সেমিনারে বিশেষ অতিথিবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিসেস সংগীতা বিশ্বাস, বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু ও শাকিব হোসেন।

সেমিনারে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর একদল শিক্ষার্থী।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা সবসময়ই ঈদের আনন্দ সবার সাথে ভাগ করে নিতেন।

সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, শুধু ঈদের দিনের আনন্দ না জাতির পিতা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত অনুষ্ঠানের আনন্দ ভাগ করে নিতেন। স্বাধীনতার পূর্বে তিনি গণ মানুষের নেতা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি যখন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন , প্রটোকল অনুসরণ না করে সুবহানবাগের মসজিদে নামাজ আদায় করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বন্ধুত্বপূর্ণ এবং স্বজনসুলভ স্বভাবের জন্যই তিনি প্রটোকলের মধ্যে না থেকে সাধারণভাবে থেকেছেন। যাতে তার জনগণের সাথে তিনি সাধারণভাবে মিশতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে জনগণের সাধারণ কিছু ঘটনা তিনি তুলে ধরেন। একজন কৃষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সবজি দিতে আসলে তিনি তাকে ২০ টাকা উপহার স্বরূপ দেন এবং সেই প্রেক্ষিতে যখন কৃষক টাকা নিতে রাজি হয় না তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিচে আসেন এবং দেখতে পান ২০ টাকা ১০ টাকা হয়েছে। তখন বঙ্গবন্ধু বলেন- ” যে দেশে দোতলা থেকে ২০ টাকা নিচ তলায় এসে ১০ টাকা হয়ে যায় সে দেশ কিভাবে উন্নয়ন সম্ভব। বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য ভেবে গেছেন। জনগণকে তিনি ইজ্জত দিয়ে কথা বলতেন।

সেমিনারের প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ আকলিমা জাহান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের স্ব স্ব জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর ছিলেন ধর্মনিরপক্ষ। তিনি ঐতিহ্যগতভাবেই ধর্মপ্রাণ। মানুষ রাষ্ট্রের নিরাপত্তায় থাকবে এই ব্যাপারটিকে বঙ্গবন্ধু বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন – ” ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে আমি বলব আমি বাঙালি , বাংলা আমার ভাষা।”

 

তিনি আরও বলেন,

বাংলাদেশকে এবং বাঙালির কালচারকে ভালোবেসেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষকে একত্রিত রাখার যে নিয়ম নীতি গঠন করে গেছেন তা ফলপ্রসূ ।

 

সেমিনারে উপস্থিত

বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা মিসেস পারভীন আক্তার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শ। তার আদর্শ অনুসরণ করেই আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবো।

 

সেমিনারের বিশেষ অতিথি জার্নালিস্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনেকেই সেকুলারিজম প্রমাণ করতে গিয়ে বলেন, তার হয়তো ধর্মে বিশ্বাস ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন এবং তিনি মূলত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছিলেন।

 

সেমিনারে জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রায়ই নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন ‘পানির দেশের মানুষ’ হিসেবে।

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী থেকে রামপালের বেতবুনিয়া হয়ে মোংলা নদীর মুখ পর্যন্ত ৩৯ কিলোমিটার কৃত্রিম নদী পথের সৃষ্টি করেন, যা সুন্দরবন রক্ষায় ভূমিকা রাখে।

 

জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার জনাব মোঃ শাকিব হোসেন বলেন, ১৯৭৩ সালের ১৭ জুন সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, দুষ্কৃতিকারীদের রেহাই নেই । এদের দমনে সরকার বদ্ধপরিকর। সমাজে শান্তি বিঘ্নিত হতে দেওয়া যাবে না । এসব বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, জাতির পিতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর ছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।

Share: