সব থেকে অবাক করার বিষয় হলো, তার আইকিউ স্বাভাবিক মানুষের থেকে অনেক বেশি হলেও তার ব্রেইনের সাইজ ছিলো সাধারণ মানুষের ব্রেইনের তুলনায় ছোট! সাধারণ মানুষের ব্রেইনের ভর যেখানে প্রায় ৩ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ১৪০০গ্রাম, সেখানে আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ভর প্রায় ২.৭ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ১২২৫ গ্রাম!
২। আইনস্টাইনের ব্রেইনের ইনফেরিওর প্যারাইটাল অংশ (যা মানুষের ভাষা ও গাণিতিক দক্ষতাকে নিয়ন্ত্রণ করে) স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের তুলনায় ১৫ শতাংশ বড়! অন্যদিকে ব্রেইনের সব থেকে বড় খাদ সিলভিয়ান ফিসার যা কিনা আইনস্টাইনের মস্তিষ্কে ছিলোইনা।
আরও পড়ুন: ৯ দেশে বিস্তৃত সাড়ে ৫ কোটি বছরের পুরোনো জঙ্গল!
৩। আইনস্টাইনের ব্রেইনের সেরিব্রাল কর্টেক্স মস্তিষ্কের বাকি অংশগুলোর থেকে অনেক পাতলা ছিলো এবং এই পাতলা অংশে নিউরনের ঘনত্ব ছিলো স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি!
৪। সব থেকে বড় পার্থক্য হলো, আইনস্টাইনের ব্রেইন আসল বয়সের থেকে কম বয়স নির্দেশ করে। অর্থাৎ তার ব্রেইন তার বয়সের থেকে আরও কম বয়সীদের ব্রেইনের মত আচরণ করে। অন্যদিকে আইনস্টাইনের ব্রেইনের নিউরন ও গ্লিয়াল কোষের অনুপাত একই বয়সে মারা যাওয়া ১১ জনের সাথে তুলনা করা হয়েছিলো। এতে দেখা যায়, এই অনুপাত আইনস্টাইনের ব্রেইনে অনেক গুণ বেশি।
আইনস্টাইনের ব্রেইনের বর্তমান অবস্থা কি!
টমাস হার্ভে আইনস্টাইনের ব্রেইনের মোট ৫ বক্স স্লাইড তৈরি করেছিলেন, যার মধ্য থেকে একসেট স্লাইড বর্তমানে আমেরিকাতে অবস্থিত ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ হেলথ অ্যান্ড মেডিসিনে’ রয়েছে। বাকি ৪৬টি স্লাইড রয়েছে ‘দ্য মাটার মিউজিয়াম’ এ।
২০০৭ সালে আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক চোর হার্ভে মারা যান৷ কোন উদ্দ্যেশ্যে যে তিনি আইনস্টাইনের ব্রেইন মাথা থেকে বের করেছিলেন, তার সঠিক জবাব কারো কাছেই নেই। তবে এই প্রসিদ্ধ মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণার ফলে আরও অনেক রহস্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।