নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া এমন অনেক অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবির মধ্যে একটি জনপ্রিয় ছবি হলো মোবাইল ফোন ধরার ছবিটি। কারণ এই ছবিটিই বলে দেবে ব্যক্তি হিসেবে আপনি কেমন।
আরও পড়ুন: কে বেশি নাক ডাকে, নারী নাকি পুরুষ
অপটিক্যাল ইল্যুশনের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক বিষয়টি জড়িয়ে থাকায় আপনিও জেনে নিতে পারেন ব্যক্তি হিসেবে আপনি কেমন। সেই সঙ্গে অন্যদের সম্পর্কেও যদি আপনি ধারণা পেতে চান তাহলে আপনি ভরসা রাখতে পারেন অপটিক্যাল ইল্যুশনের এই ছবিটির ওপর।
ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা দিতে আপনাকে প্রথমে এই ছবিটি থেকে একটি পছন্দমতো ফোন ধরার ধরন বেছে নিতে হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর থেকেই বোঝা সম্ভব হবে যে আপনার মস্তিষ্ক ঠিক কীভাবে কাজ করে।
১ নং ফোন ধরার স্টাইল: আপনার যদি ১ নম্বর ফোন ধরার স্টাইলটি পছন্দ হয় তবে ঝঞ্ঝাটহীন, সুখী, আত্মবিশ্বাসী একজন মানুষ। আপনি জীবনে কোনোকিছু নিয়ে অভিযোগ করেন না। আপনার লক্ষ্য ও প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনে আপনি ঝুঁকি নিতে পারেন। আর ভালোবাসা বা রোম্যান্সের ক্ষেত্রে আপনি সাবধানী এবং ‘ধীরে চলো’ নীতিতে বিশ্বাসী।
২ নং ফোন ধরার স্টাইল: আপনার যদি ২ নম্বর ফোন ধরার স্টাইলটি পছন্দ হয় তবে এর অর্থ আপনি জ্ঞানী, বিচক্ষণ এবং যুক্তিবাদী। অন্যকে বোঝার ব্যাপারে আপনি সমব্যাথী এবং তীক্ষ্ণবুদ্ধি সম্পন্ন। তবে ভালোবাসার ক্ষেত্রে মনের মানুষকে হারানোর ভয়ে এরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চান যা হিতে বিপরীত ঘটার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩নং ফোন ধরার স্টাইল: ৩ নম্বর স্টাইলে যদি ফোন ধরতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাহলে ব্যক্তি হিসেবে আপনি যে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখে দ্রুত পরিস্থিতির বিশ্লেষণ ও সমাধান করতে পারেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। জীবনে সাফল্য পেতেও আপনি কঠোর পরিশ্রমী বলা যায়।
৪ নং ফোন ধরার স্টাইল: যদি আপনার মোবাইল ফোন ধরার স্টাইল ৪ নম্বরের মতো হয় তবে আপনি সবচেয়ে ভাগ্যবান বলা যায়। কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের ব্যক্তিরা সহজেই মানুষকে আকর্ষণ করতে পারেন। আপনার মৌলিক ভাবনা আর কল্পনাই আপনাকে আকর্ষণীয় করে তোলার মূল কারণ বলা যায়।
আরও পড়ুন: বিরল রোগে জন্ম থেকেই মুখে হাসি শিশুর!
নানা গুণে গুণান্বিত হওয়ায় আপনি একা একা থাকতে পছন্দ করেন। ভালোবাসার ব্যাপারে আপনি লাজুক হওয়ায় আপনি চান আপনার প্রিয় মানুষটিই আগে আপনার দিকে এগিয়ে আসুক। কঠোর পরিশ্রমে জীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানোর ক্ষমতাও এমন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: এই সময়