একটি প্রশ্ন
–ইয়াফেস ওসমান
জীবিত কালে ঘিরিয়া রাখিত
সদায় হাজারো নেতা
মৃত পিতা হায় একা পড়ে রয়
নেতারা গেলেন কোথা!
পিতার সমুখে জান দিতে পারি
মুখে তে ফুটিত খৈ
মৃত্যুর পর একা পড়ে পিতা
নেতারা গেলেন কৈ!
সকল সাহস পিতাই দেখালো
ভয়কে করিয়া জয়
মৃত দেহ তাঁর পড়ে রয় হায়
নেতারা কোথায় রয়!
মানুষ যদি প্রশ্ন করে বলুন
এটা তো হবার নয়?
তাহলে ভাষণে জান দিতে পারি
কথার কথায় হয়!
১৫ই আগষ্ট ষড়যন্ত্র কাহিনী
কেউ কি বুঝেনি আগে
এত নেতা তার হাজারো সংখ্যা
মনে তো প্রশ্ন জাগে!
দুখী মন নিয়ে কন্যার কথা
চোখেতে আনিল জল
এতো শত নেতা সব গেল কোথা
কোথা গেল কোলাহল!
তৃণমূল নেতা হাজারও কর্মী
আজো কাঁদে পিতা লাগি
তাদের জীবন যেন মৃত মানুষের
দেহ শুধু আছে জাগি।

বিশেষ প্রতিনিধিঃ শোকবহ ১৫ আগষ্টে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে- ওই সময় সাহস নিয়ে দলের নেতাদের এগিয়ে না আসায় কিছুটা ক্ষোভও ঝরে পড়ে।আবেগতাড়িত কন্ঠে প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন রেখে বলেন, এত বড় একটা ঘটনা(বঙ্গবন্ধু হত্যা), বাংলাদেশের কোন লোক জানতে পারল না? কেউ কোন পদক্ষেপ নিল না? লাশ পড়ে থাকলো ৩২ নম্বরে! এতো বড় সংগঠন, এত দলের নেতা-কোথায় ছিলো তখন? মাঝে মাঝে আমার জানতে ইচ্ছে করে, কেউ সাহসে ভর করে এগিয়ে আসতে পারল না? বাংলার মানুষ তো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিল। এই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে গোটা জাতিকে।
( দৈনিক জনকণ্ঠ বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯)