ভৈরবে ডিএমবি ইউনিভার্সিটিতে জাপানি ভাষা কেন্দ্রের উদ্বোধন: বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায়

ড.দিপু সিদ্দিকী: ডাক্তার মমতাজ বেগম ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডিএমবি ইউনিভার্সিটি), ভৈরবে আজ এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রবেশ করেছে। খ্যাতনামা জাপানি প্রতিষ্ঠান সাকা-কাওয়া পিস ফাউন্ডেশন-এর পরিচালক নাহিও নাকাইয়ামা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাপানি ভাষা কেন্দ্র-এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা এবং ডিএমবি ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিওটি মেম্বার জামাল-জি আহমেদ, ফুলব্রাইট স্কলার ও উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইমাদুল ইসলাম, ডিএমবি ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আজিজুল হক, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম, ডিএমবি ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাদাদ এবং রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকার আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ড. দিপু সিদ্দিকী।

অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, এই ভাষা কেন্দ্র বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জাপানের শিক্ষা ও চাকরির বাজারে প্রবেশের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা—“বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক উন্নয়নে ভাষা শিক্ষার ভূমিকা”—এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএমবি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আজিজুল হক।

সাকা-কাওয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাহিও নাকাইয়ামা বলেন, “ভাষা শিক্ষা নতুন প্রজন্মের আন্তর্জাতিক দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের পথে এগিয়ে চলার প্রধান হাতিয়ার। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আতিথেয়তা আমাকে অভিভূত করেছে। ডিএমবি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল বলেন, “ভাষা কেন্দ্র স্থাপন কেবল শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, বরং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার এক উজ্জ্বল মাইলফলক। আমার পিতা, ডিএমবি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ বি এম ইকবাল-এর শিক্ষা ও মানবিক দর্শনের আলোকে আমরা মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে আছি।”

বক্তব্যে জামাল-জি আহমেদ বলেন, “জাপানি ভাষা কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত সাফল্য, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করবে।” তিনি শিক্ষার্থীদেরকে নিজ বিষয়ে দক্ষতার জন্য পাশাপাশি ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করার আহ্বান জানান।

ড. ইমাদুল ইসলাম বলেন, “শুধু জাপানি নয়, ইংরেজি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ভাষায় দক্ষতা অর্জনের দিকেও আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।” তিনি বলেন একজন মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি মেধা সম্পদ সবকিছুই বিনিয়োগ করছেন সুবিধা বঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য‌ সর্বোপরি স্বল্প খরচে আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ জনশক্তি তৈরীর জন্য,; গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশের জন্য।

অনুষ্ঠানেপ বক্তব্য প্রদান করেন জাপানি ল্যাংগুয়েজ সেন্টারের উপদেষ্টা সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি র অধ্যাপক ডক্টর আশরাফুল আলম
ডিএমবি ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি’র উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আজিজুল হক।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আজিজুল হক বলেন, “এই ভাষা কেন্দ্র ডিএমবি ইউনিভার্সিটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের পথে এক বিশাল পদক্ষেপ এগিয়ে নিলো।” তিনি বলেন, নাহিও তার মূল্যবান সময় ব্যয় করে গ্রামের অত্যন্ত অঞ্চলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সরল প্রাণ শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। এজন্য তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আলোচনা শেষে জাপান থেকে আগত প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, ল্যাব ও প্রশাসনিক অফিস পরিদর্শন করেন এবং উপাচার্যের নেতৃত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

 

 

Share: