ঢাকা: রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা (RUD)-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ-এর মাননীয় চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও প্রিমিয়ার গ্রুপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল মহোদয়ের শ্রদ্ধেয় পিতা  আলহাজ্ব এ.কে.এম. জিল্লুর রহমান এঁর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৯ অক্টোবর বুধবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে এক স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলহাজ্ব এ.কে.এম. জিল্লুর রহমান এঁর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ২৯ অক্টোবর বুধবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে এক স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে মরহুমের কর্মময় জীবন, শিক্ষানুরাগ ও সমাজসেবায় তাঁর অসামান্য অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এ এন এম মেশকাত উদ্দীন-এর সভাপতিত্বে স্মরণসভাটি শুরু হয়। উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে বলেন,”প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং RUD-এর বিওটি-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার এইচবিএম ইকবালের শ্রদ্ধেয় পিতা ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। তাঁর এই মহান গুণাবলীর ফলস্বরূপ তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরিরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং সফল। আমরা দেখতে পাচ্ছি মৃত্যুর একচল্লিশ বছর পরেও তাঁকে সবাই গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে। তাঁর মতো নিঃস্বার্থ ব্যক্তিত্বের স্মৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”
 তাঁর এই মহান গুণাবলীর ফলস্বরূপ তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরিরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত এবং সফল। আমরা দেখতে পাচ্ছি মৃত্যুর একচল্লিশ বছর পরেও তাঁকে সবাই গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছে। তাঁর মতো নিঃস্বার্থ ব্যক্তিত্বের স্মৃতি আমাদের অনুপ্রাণিত করে।”
স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কলা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক (দিপু সিদ্দিকী) এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রার ইনচার্জ মোঃ মুশফিকুর রহমান।
 প্রফেসর ডক্টর দিপু সিদ্দিকী আলহাজ্ব এ.কে.এম. জিল্লুর রহমানকে দানবীর, সমাজসেবক এবং ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন,”এ কে এম জিল্লুর রহমান তাঁর কর্মক্ষেত্র শুধু সমাজসেবা কিংবা দানের মধ্য দিয়েই সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সন্তান ডাক্তার এইচবিএম ইকবাল সহ অনেক তরুণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই অনুপ্রেরণাই বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ভাগ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে ফিরে আসলেও তাঁর সন্তান
প্রফেসর ডক্টর দিপু সিদ্দিকী আলহাজ্ব এ.কে.এম. জিল্লুর রহমানকে দানবীর, সমাজসেবক এবং ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন,”এ কে এম জিল্লুর রহমান তাঁর কর্মক্ষেত্র শুধু সমাজসেবা কিংবা দানের মধ্য দিয়েই সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সন্তান ডাক্তার এইচবিএম ইকবাল সহ অনেক তরুণকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এই অনুপ্রেরণাই বর্তমান প্রজন্মের কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ভাগ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে ফিরে আসলেও তাঁর সন্তান

ডা. এইচবিএম ইকবাল যুদ্ধাহত হন।তিনি সুশিক্ষার ভিত্তির বাতিঘর তৈরির জন্য নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।  মরহুম পিতার অনুপ্রেরণায় ডা. ইকবাল বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে দুইটি  বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক হোটেল সহ একাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে ভৈরবে প্রতিষ্ঠিত জিল্লুর রহমান প্রিমিয়ার ব্যাংক স্কুল এন্ড কলেজ গোটা কিশোরগঞ্জ জেলায় একাধিকবার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মরহুমের এই কর্মধারা প্রমাণ করে তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব।” তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মোঃ মশিউর রহমান বলেন, “নিঃসন্দেহে তিনি একজন কীর্তিমান পুরুষ, দানবীর। তাঁর দেখানো পথ এবং দূরদর্শীতার সুফল আজও সমাজে দৃশ্যমান। তাঁর মতো মানুষেরাই একটি জাতির ভিত্তি তৈরি করে দেন।”
স্মরণসভার শেষে আলহাজ্ব এ.কে.এম. জিল্লুর রহমান এঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাটিতে উপস্থাপনা করেন প্রভাষক মোঃ আরিফ হোসেন।ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মুরাদ হাসান, সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শারমিন সুলতানা,  হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান আমিনুল আশরাফ, সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন, প্রভাষক শামিমা সিদ্দিকা, প্রভাষক মিতানুর রহমান, হিসাব পরিচালক মাহমুদা বেগম, আইটি ম্যানেজার  মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, অডিট অফিসার সুহৃদ জামান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং  মরহুমের গুণগ্রাহীরা মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান আমিনুল আশরাফ, সহকারী অধ্যাপক আমেনা খাতুন, প্রভাষক শামিমা সিদ্দিকা, প্রভাষক মিতানুর রহমান, হিসাব পরিচালক মাহমুদা বেগম, আইটি ম্যানেজার  মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম, অডিট অফিসার সুহৃদ জামান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং  মরহুমের গুণগ্রাহীরা মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।