ঢাকা, ১৮ জুলাই: রয়েল ইউনিভার্সিটি অফ ঢাকা’য় ‘জুলাই বিপ্লব’ উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র “নিষ্পেষিতের কণ্ঠস্বর” প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দিন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ কখনোই শোষণ ও বৈষম্য মেনে নেয়নি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণ বারবার রুখে দাঁড়িয়েছে।” তিনি ‘জুলাই স্পিরিট’ ধারণ করে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এএসএম মুশফিকুর রহমান বলেন, “মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মনুষ্যত্বের উন্নয়ন ছাড়া বৈষম্য দূর করা যাবে না।”
কলা অনুষদের ডিন এবং ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আবু বকর সিদ্দিক (দিপু সিদ্দিকী) নীতি, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের চর্চাকে সমাজ গঠনের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
ইংরেজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক জহরত আরা বলেন, “বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে হলে মানবিক গুণাবলীর চর্চা ও দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে ওঠার প্রয়োজন।”
ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মুরাদ হাসান স্মরণ করিয়ে দেন, “জুলাই ২০২৪-এ বৈষম্য ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শিক্ষক-জনতা একত্রিত হয়েছিল।”
স্মরণসভা শেষে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. দিপু সিদ্দিকীর নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র “নিষ্পেষিতের কণ্ঠস্বর” প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রটির উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. মেশকাত উদ্দিন। প্রামান্য চিত্রটি দর্শকদের নিঃশব্দ মনোযোগ এবং ভূষি প্রশংসা অর্জন করে।
প্রামাণ্যচিত্রে ভোটাধিকার, কোটা বৈষম্য ও নিপীড়নের চিত্র বাস্তব ও হৃদয়স্পর্শীভাবে ফুটে ওঠে। প্রদর্শনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মেশকাত উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক জহরত আরা, সহকারি অধ্যাপক আমেনা খাতুন, সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা, সহকারি অধ্যাপক ওবায়দুর রহমান, এবং সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহমান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক মো. আরিফ হোসেন।
জুলাই স্মরণসভায় রয়েল ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।