বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন দেশ পরিচালনায় পাথেয় হয়ে থাকবে। ড. কলিমউল্লাহ

আইরিন নাহার/প্রেসওয়াচঃ ড. কলিমউল্লাহ বলেছেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন রাষ্ট্র পরিচালনায় অনুসরণ করা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়স থেকেই মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দেশ ও জাতির কল্যাণে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বিশ্লেষণ ও কর্মজীবন রাষ্ট্র পরিচালনায় অনুসরণ করলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন দেশ পরিচালনায় পাথেয় হয়ে থাকবে। ড. কলিমউল্লাহ

গত বুধবার, ২৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ওয়েবেনার জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ একথা বলেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও ;র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্রীড়া সংগঠক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জনাব ইমতিয়াজ খান বাবুল। তিনি ক্রীড়াঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। জনাব বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমী। তাঁর রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি ক্রীড়ার প্রতি আলাদা আগ্রহ ছিলো। তাঁর শাসনামলে ক্রীড়া বিষয়ক বিভিন্ন ফেডারেশন গড়ে উঠে। তাঁর অনুপ্রেরণা ও উৎসাহে মহিলাদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স এবং আবোহানী ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা ‘র সহযোগী অধ্যাপক দিপু সিদ্দিকী ।জনাব সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশাল হৃদয়ের মানুষ।তিনি  বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ের গুণীজন এবং বিখ্যাত পত্রিকাগুলোর রেফারেঞ্চ উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানান দিক বিশ্লেষণ করে বলেন,বঙ্গবন্ধু ছিলেন সম্পদ আরোহণ  ও পদমর্যাদা প্রতি  লোভহীন । যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে সম্মানিত করছে। 

আলোচনায় সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন গোলাম মুর্শেদ। জনাব মুর্শেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা বাংলাদেশ উপহার পেয়েছি। তিনি বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জনাব নাজমা আক্তার ‘১৫ আগস্ট’ নিয়ে কবি নির্মেলেন্দু গুণ-এর কবিতা আবৃত্তি করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন। জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার, লেখক, ও গবেষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। জনাব রহমান বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন করার জন্য বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন। দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ১৯৭২ সালের ৩১ শে জানুয়ারির মধ্যে অস্ত্রসমর্পণের নির্দেশ দেন যা একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ছিলো। এছাড়াও প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন, ১ম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা এবং স্থানীয় প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ইত্যাদি তাঁর গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার শেখ আল আমিন, এবং মোঃ খাদেমুল ইসলাম।

বা/ফা

Share: