বিদায় বেলায়
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এন.এম. মেশকাত উদ্দীন স্যারকে
— ড. দিপু সিদ্দিকী
চলার পথে হঠাৎ থেমে যায় আলো,
হাওয়ায় ভাসে দুঃখের দীর্ঘশ্বাস—
আজ বিদায়ের এই নিঃস্বান্ত মুহূর্তে,
শব্দ খুঁজে পাই না, স্যার, ব্যথার ভাষা।
আপনি ছিলেন আমাদের প্রহরী-দীপ,
ন্যায়ের পথে অটল এক দিশারী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আকাশে আপনার মানে
ছিলো শান্তি, ছিলো শৃঙ্খলা, ছিলো আলোর ভারী।
বিশ বছরের অধিকান্তর বিদেশের অগণিত প্রাঙ্গণে
আপনি রেখেছেন সুনামের সোনালি চিহ্ন—
আমাদের মাঝে ছিলেন অচঞ্চল, স্থির,
সরলতায় উজ্জ্বল, প্রজ্ঞায় মহিমান্বিত এক জন।
আপনি ন্যায়ের বিচারক, সত্যের সৈনিক,
মনুষ্যত্ব ছিলো আপনার প্রথম পরিচয়।
পিতাসুলভ স্নেহে আগলে রেখেছেন আমাদের,
সহমর্মিতায় ভিজিয়েছেন প্রতিটি কর্মদিবস, প্রতিটি প্রভাতের ক্ষয়।
দশ মাসের সান্নিধ্য—
কত ক্ষুদ্র, তবু কত গভীর অনুভব!
আপনার উদারতা, আপনার নীরব শক্তি,
আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে অবিনশ্বর প্রতিচ্ছব।
৩০ নভেম্বর ২০২৫—
এই তারিখটিকে স্বীকার করতে পারছি না কিছুতেই।
কারণ এ শুধু আপনার বিদায় নয়,
এ আমাদের হৃদয়ের ভাঙন, নীরব ক্রন্দনও বটে।
আপনার প্রস্থানের—
উত্তর আজও অজানা, অন্ধকার।
তবু জানি, যেখানে যাবেন আপনি,
সেখানেও জ্বলবে আপনার মানবিকতার অমলিন আলোর ধ্বংসাবশেষহীন প্রহর।
স্যার, আমার ক্ষুদ্রতা আপনাকে ছুঁতে পারে না,
তবুও আমার শ্রদ্ধা আপনাকে জড়িয়ে রাখুক নিঃশব্দে।
আমি ছিলাম, আছি, থাকবো—
আপনার একজন কৃতজ্ঞ সহকর্মী, চিরদিন, অবিচল ভাবে।
আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন,
আপনার জ্ঞানের দীপ জ্বলে থাকুক দূর দূরান্তে।
আপনার আলোয় আমরা বাঁচি—
আর আপনার প্রতি আমার দোয়া, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা
চিরকাল থাকুক আপনার হৃদয়ের পাশে।