এর আগে গত ১৫ জুন ভাসমান জনগোষ্ঠীর তথ্য সংগ্রহের মধ্যদিয়ে দেশে শুরু হয় ষষ্ঠ ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২’ কার্যক্রম। এবারই প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হয় শুমারির কাজ। নিরাপত্তা ও সহজে তথ্য বিনিময়ের স্বার্থে দিনের বেলায় নিয়োজিত কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন।
‘জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রাথমিকভাবে ২১ জুন রাত পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলে।
এর আগে সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, এবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একটি ওয়েবভিত্তিক ইনটিগ্রেটেড সেনসাস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইসিএমএস) প্রস্তুতসহ জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমে (জিআইএস) গণনা এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের কন্ট্রোল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়।
জনশুমারির তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে শুমারিকর্মী হিসেবে সারা দেশে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী, ৬৪ হাজার সুপারভাইজার এবং বিবিএসের সাড়ে ৪ হাজারের বেশি কর্মচারী এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
এছাড়া বিবিএসের বাইরে বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রায় ৯০০ কর্মচারী জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
শুমারিতে সঠিক তথ্য দিতে উদ্বুদ্ধকরণবিষয়ক গান, নাটিকা, ডকুড্রামা, শুমারি কাউন্ট ডাউন, ডকুমেন্টারি দেশের সব সরকারি-বেসরকারি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে স্থানীয় ক্যাবল টিভিতে জনশুমারি প্রচার, প্রচারসামগ্রী বিতরণ, ডকুমেন্টারি প্রচারসহ শুমারি চলাকালে মাইকিং করা হয়।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দশ বছর পরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত না থাকলেও সাম্প্রতিক তথ্যের সরবরাহ বাড়াতে সম্ভব হলে ৫ বছর পর এ শুমারির তথ্য হালনাগাদ করার চেষ্টা করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আগামী ৩ মাসের মধ্যে প্রিলিমিনারি প্রতিবেদন প্রকাশসহ এ জনশুমারি নিয়ে ধাপে ধাপে মোট ১৩৩টি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।