সোমবার (২৫ জুলাই) রাত পৌনে ১০টায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ভবনের পদ্মা হলে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবিরের ডাকে সাড়া দিয়ে রেলভবনে আসেন মহিউদ্দিন রনি ও তার কয়েকজন সহযোগী।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রেলওয়ের সচিব ও ডিজির সম্মতিক্রমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অংশীজন সভায় তাকে একজন প্রতিনিধিসহ উপস্থিত হয়ে যাবতীয় অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা উত্থাপন এবং ৬ দফার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার ফলোআপে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
এ সময় রনি বলেন, আমার ৬ দফা দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা রেখে এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ডিজির প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং আমার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
আরও পড়ুন: রেল সচিবের ডাকে রেলভবনে রনি
ঢাবির শিক্ষার্থী আরও বলেন, তবে যদি দেখি আমার দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না অথবা সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমি পুনরায় আমার আন্দোলনে ফিরে যাব। আশা করব আমার এ আন্দোলনে দুর্নীতিবিরোধী দেশপ্রেমিক এবং সব সৎ নাগরিককে পাশে পাব।
এর আগে বিকেল চারটার দিকে রনি তার সহযোগীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি দিতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান। কার্যালয়ের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিয়ে মহিউদ্দিন রনি বলেন, আমার যতটুকু সুযোগ ছিল আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ সুযোগ হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার, সেটি দিলাম। নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী একটা আশ্বাস দেবেন। রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আমার এবং সারা দেশের মানুষের যে ছয় দফা দাবি সেটি যেন অবিলম্বে বাস্তবায়ন হয়। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি পড়লে এই ছয় দফা দাবির বাস্তবায়ন হবে।
আরও পড়ুন: আ. লীগের কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিলেন সেই রনি
রেলওয়েতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলনকারী মহিউদ্দিন রনির দাবিগুলো হচ্ছে- টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডট কমের যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা এবং হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা; যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করা; অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করতে হবে, সেই সঙ্গে অনলাইন-অফলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা; যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা; ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বৃদ্ধি করা এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।