ঈদের নামাজ শেষে কারো হাতে কোদাল, কেউ কাটছেন বাঁশ

কারো হাতে কোদাল, কেউ কাটছেন বাঁশ, কেউবা আবার টুকরিতে ভরছেন মাটি, বিছাচ্ছেন ইট। এ দৃশ্য মাদারীপুর সদর উপজেলার মধ্য পেয়ারপুরের।

রোববার (১০ জুলাই) ঈদের নামাজ আদায় শেষে সড়ক মেরামত করছেন এলাকাবাসী। এতে যোগ দিয়েছেন এলাকার শিশু-কিশোর এমনকি বৃদ্ধরাও।

স্থানীয়রা জানান, গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পেয়ারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের জবান খাঁর বাড়ি থেকে মধ্য পেয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কটি ইট উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে একদিকে চলাচলে বিড়ম্বনায় পথচারীরা, অন্যদিকে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।

জনপ্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন দফতরের ধন্না ধরে বারবার আশ্বাস মিললেও সড়কটির মেরামতে আলোর মুখ দেখেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে ঈদের দিনে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি মেরামত করতে বাধ্য হন এলাকাবাসী।

সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সবুজ হাওলাদার বলেন, ৫ বছর পর পর জনপ্রতিনিধি পরিবর্তন হলেও সড়কের পরিবর্তন হয় না। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করলেও দেখার কেউ নাই। নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাসের বানী শোনায়, তারপর আর কোনো খোঁজই রাখে না।

সড়ক মেরামতের উদ্যোক্তা সোহেল আহম্মেদ বাদল জানান, মধ্য পেয়ারপুর গ্রাম থেকে জেলা সদরের দুরত্ব ১২ কিলোমিটার। যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি এটি। পেয়ারপুর ইউনিয়নের জনসংখ্যা ৩২ হাজারেরও বেশি। এই ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ৫ হাজার। যার বেশিরভাগই থাকেন ইতালি, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে। কিন্তু অবহেলিত এই এলাকায় সড়কের করুণ অবস্থা থাকলেও মেরামতে কেউ এগিয়ে আসেনি। সবশেষ এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়।

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন জানান, শিগগিরই সড়কটি পরিদর্শনে গিয়ে নতুন করে মেরামতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আর দীর্ঘদিনে সড়কটি কেনো মেরামত করা হয়নি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Share: