রোববার (১০ জুলাই) জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। মিরপুর জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান বিকল্প ইমাম হিসেবে ছিলেন। মোকাব্বির ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মাওলানা হাবিবুর রহমান মেশকাত।
এ জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।
আরও পড়ুন: দেশ-জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া-মোনাজাত
ফের করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তির পাশাপাশি বন্যাদুর্গত সিলেটবাসীর জন্য দোয়া প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত। এ বছর পঁয়ত্রিশ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা ছিল জাতীয় ঈদগাহে। আনন্দের এক সাগরে পরিণত হয় গোটা হাইকোর্ট চত্বর।
একই কাতারে ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, সবল-দুর্বল সব শ্রেণির মানুষ একাকার হয়ে মিশে যায়। নেই বংশ গৌরব, কৌলিন্য, নেই মান-মর্যাদা; বরং সবাই যেন একই পথের পথিক। সবার উদ্দেশ্যও এক। মহান আল্লাহর আনুগত্য কামনা ও রবের সন্তুষ্টি অর্জন করা।
জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে নানা শ্রেণি-পেশার ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সঙ্গে একই কাতারে অংশ নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ছিলেন উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন জয়
নামাজ শেষে খোতবার পর দোয়ায় অংশ নেন মুসল্লিরা। দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। দুঃসহ অতীত ফেলে সামনের দিনে প্রার্থনা করেন ন্যায় আর কল্যাণের। এরপর কোলাকুলির মাধ্যমে বুকে জড়িয়ে নেন একে অপরকে। আনন্দের এক সাগরে পরিণত হয় গোটা হাইকোর্ট চত্বর। ঘর ছেড়ে ঈদগাহে এসে ঈদের জামাতে শামিল হওয়ার আনন্দে ভাসেন নারীরাও।
এর আগে ভোর ৬টা থেকেই জাতীয় ঈদগাহের পানে আসতে থাকেন হাজারো মুসল্লি। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে সবার পথ এসে শেষ হয়ে যায় একই পথে। নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণ ও আনন্দ ছিল চোখে পড়ার মতো।