“হা হা হা”
হাসি পায় ভাই, বড্ড হাসি পায়।
“এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে…”
পাঠক এ-বাণী বিশ্ব বিখ ̈াত রামায়ণের একটি পংক্তি। যার পটভ‚মি হলো গৃহ কর্মী মন্থরার পরামর্শে ছলনা করে. রাণী
কৈকেয়ী রাম-সিতা ও লক্ষণকে বনবাসে পাঠালেন আর নিজ পূত্র ভরতকে রাজ ̈ শাষণের ভার দিলেন।
“এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে…” এই পংক্তিটি এখন খল নায়কদের. সুবিধা ভোগের জন ̈ তোষামুদি বা ভড়ং
দেখানোর জন ̈ ব ̈বহৃত।
যেমন বাংলাদেশে এক সাংবাদিক দম্পতির খুনের বিষয়ে কিছু লোক সোচ্চার হয়ে উঠলেন।
ব ̈াস দল বেঁধে যে লোক ̧লো হৈ চৈ শুরু করলেন, তাদের. নেতাকে টিভি চ ̈ানেল ও উপদেষ্টা করে. দিতেই সব
ভোজবাজীর মতো নিমিষে প্রতিবাদ বন্ধ।
বর্তমানে প্রায় পঁচাশি বার এই খুনের আই ও বদল হয়েছে। সাধূ সাধূ ।
এ এক অতি পুরানো প্রচলিত পদ্ধতি। প্রথমে একটু চিল্লা চিল্লি করো ব ̈াস তারপর কর্তা ব ̈ক্তিরা কিছু টাকা দিলে
চাইপা যাও্। এই হৈ চৈ কেবল মাল কামানোর ধান্ধা।
যেমন কিছু রাজনৈতিক লেজুড় রয়েছে এরা যেই সরকারই আসে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তারপর হালুয়া রুটি পেলেই
চুপ চাপ।
একবার এক তথাকথিত বাম রাজনৈতিক দল, তাদের. নেতার জামিন লাভের জন ̈ খাল কাটা প্রকল্পে সর্মথন দিলেন।
কিন্তু বিধিবাম, বামদল খাল কাটা প্রকল্পে সর্মথন দিলেও নেতার জামিন হয়নি। মাঝে মাঝে দু-একটা কেস এমনি
ঁেকচে যায়। এটা কিছুই নয়, পার্ট অব দি গেম।
“সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান প্রμিয়ায় অসঙ্গতির প্রতিবাদে চলচ্চিত্রকর্মী সমাবেশ”।
এঁদের. চাওয়া এই রাষ্ট্রীয় প্রণোদনাটি ̄^চ্ছ ও জবাবদিহিতা প্রμিয়ায় গতিশীল থাকুক। ̄^াধীন ও শিল্পসন্মত
চলচ্চিত্রসমূহ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করুক।”
পাঠক কিছু কি আঁচ করতে পারছেন, “এ কি কথা শুনি আজ মন্থরার মুখে…” বিষয়ট্ াওই ।
এই সব বড় বড় বাঘা বাঘা মুক্তিযোদ্ধা, সমাজ সচেতন পাবলিক, জন-দরদী, গরীবের সাথী, এঁরা কেউ কিন্তু বালিশ
কেন পাঁচ হাজার টাকায় কেনা হলো, পর্দার দাম কেন বত্রিশ হাজার টাকা! নিরাপদ সড়কে কেন μ ̈শ হেলমেটের
আর্বিভাব। বানভাসী ভাইদের. জন ̈ নেই কোনো হা হুতাশ। পি কে হালদার কেন তিন হাজার কোটি টাকা পাচার
করলো? পি কে’র সাথে কারা কারা জড়িত, এ নিয়ে কোনো সভা সমাবেশ নেই, হঠাৎ চলচ্চিত্র নিয়ে কেন এঁরা সর
গরম হলেন?
সারা দেশে যখন প্রতিদিন লাইন থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা উত্তোলন হচ্ছে, কোরবানীর গরুর হাটের পথে
পথে চাঁদাবাজী না না এ-সব নিয়ে স ̈ারেদের. কোনো মাথাব ̈াথা নেই, তা হলে হঠাৎ সৎ চলচ্চিত্র নির্মাণে এঁ রা
আগ্রহী হলেন কেন??
কারণ বেশ কিছু বছর ধরে. ইঁনারা কেউ চলচ্চিত্রের জন ̈ অনুদান পাচ্ছেন না।
ফলে ্ওই কথা, সেই পুরোনো টেকনিক, অনুদান কমিটির বিরুদ্ধে হৈ চৈ শুরু করো সাংবাদিক দম্পতির খুনের
মতো, তা হলে ওদের. চোখে পড়বো এবং অনুদান পাবো। অনুদান পেলেই বলবো, সিলেকশন কমিটি জিন্দাবাদ।
আরে. ভাই বাংলাদেশে চলচ্চিত্র অনুদান পায় কারা, যারা আমাদের. ভাবাদর্শে চলে তারা। এই যে অমর কথাশিল্পী
শওকত ওসমান রচিত “নেকড়ে অরন ̈” অনুদান পেলো আমার ভাবাদর্শের এক ছাত্র নেতা। মাত্র দশ বছর হতে
চলল, আজও সে ছবির শুটিং-ই শুরু হয়নি। অথচ প্রথম কিি ̄Íর টাকা নেওয়া সারা।
আজ পর্যন্ত পাকি ̄Íানি জান্তার বিরুদ্ধে রচিত অমর কথাশিল্পী শওকত ওসমান রচিত ক্রীতদাসের হাসি” অনুদান
পেলোনা, সেখানে স ̈ারেরা এসেছেন, অনুদান পেতে!!
আরে. এদেশে যদি সত ̈জিৎ রায় ̄স্ক্রিপ্ট জমা দেয় আর লাইন না করেন, তাহলে তার ̄ স্ক্রিপ্ট বাতিল বলে গন ̈ হবেই
হবে। যদঃ দেশেঃ যদ ̈পি যদাচার। যে দেশে যে আচার বা নিয়ম।
যে দেশে শিক্ষা ̄^া ̄’ ̈ বাস ̄’ান প্রশাষণ, রিলিফের চাল চুরি, ডাক্তারি, খাদে ̈ ফরমালিন, কোথাও কোনোও কিছু
সঠিক ভাবে চলছে না, সেখানে হঠাৎ করে. চলচ্চিত্র অনুদান সৎ সুন্দর. হবে তা ভাবেন কি করে!! কি করে!! কি
করে!!.
তাই বলি কি ভাই, ওই সব পুরোনো টেকনিক বাদ দিন, পদ্মাসেতু যেমন আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত…ত্বে
সফল ভাবে সম্পন্ন করলেন। চলুন ঠিক তেমনি ভাবে আমরা সবাই মিলে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলাদেশের
̄’পতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ ̈ কন ̈া জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত…ত্বে সমাজের প্রতিটি
ক্ষেত্র ঠিক করি, তাহলে আপনা আপনি মানে অটোম ̈াটিক আপনার চলচ্চিত্রের অনুদানও সঠিক হবে মিছিল মিটিং
সমাবেশ করার প্রয়োজন হবে না বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।