এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, সোমবার (৩০ মে) ঘোষিত এই প্রকল্পের অধীনে বিদেশের শীর্ষ ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীরা যুক্তরাজ্যে দুই বছরের কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। যাদের ডক্টরেট ডিগ্রি আছে তারা তিন বছরের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ব্রিটিশ সরকার বলছে, যাদের এই ভিসা দেয়া হবে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাজ্যে নিয়ে আসতে পারবেন। থাকবে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থান ভিসায় স্থানান্তরিত হওয়ার সুযোগও।
আরও পড়ুন: অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
তবে বিশ্বের যে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে কাজের সুযোগ দেয়া হবে, যোগ্য সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংস’, ‘দ্য অ্যাকাডেমিক র্যাংকিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিস’ এবং ‘কোয়াকোয়ারেলি সাইমন্ডস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং’-এর যেকোনো দুটির শীর্ষ পঞ্চাশের তালিকায় থাকতে হবে।
তবে প্রার্থীদের অবশ্যই ‘মধ্যবর্তী স্তরে’ ইংরেজি বলতে, পড়তে, শুনতে এবং লিখতে সক্ষম হতে হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার প্রকাশিত ২০২১ সালের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক তালিকায় দুই ডজনেরও বেশি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি কানাডা, জাপান, জার্মানি, চীন, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং সুইডেনের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
‘অবিশ্বাস্য সুযোগ’
ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাকের মতে, এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্যকে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা এবং উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আগামীর ব্যবসাগুলো আজই এখানে (যুক্তরাজ্যে) গড়ে উঠুক। তাই আমি শিক্ষার্থীদের এখানে তাদের ক্যারিয়ার গড়ার এই অবিশ্বাস্য সুযোগের সদ্ব্যবহার করার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠাচ্ছে ব্রিটেন!
এদিকে শুধুমাত্র বিশ্বের শীর্ষ ৫০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকধারীদের কাজের সুযোগ দেয়ার ঘোষণায় সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনার মুখেও পড়েছে ব্রিটিশ সরকার। যুক্তরাজ্যের এমন নীতিকে ‘অভিজাত’ এবং ‘বর্ণবাদী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অনেকে।