im

দিপু সিদ্দিকীঃ

রাজধানীর নিউমার্কেটে সংঘর্ষের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

নিউমার্কেটের সংঘর্ষে ১১ সাংবাদিক আহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে, সেটা খুঁজে বের করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। যারা নিউজ কাভার করতে গেলেন, তাদের কি ছাত্ররা আক্রমণ করেছে, নাকি ব্যবসায়ীরা–এটা খুঁজে বের করে বিচার হবে। এর সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত নয়।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাক্ষাৎকালে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি, বাংলাদেশে যেভাবে গণমাধ্যম কাজ করে, অনেক উন্নয়নশীল দেশে এভাবে কাজ করতে পারে না।’

ড. হাছান বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশে গণমাধ্যম কীভাবে কাজ করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়েও আলোচনা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেসব চ্যালেঞ্জ আছে বিশ্বব্যাপী, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে জানিয়েছি, বাংলাদেশে যেভাবে গণমাধ্যম কাজ করে, সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে সেভাবে কাজ করতে পারে না। তাকে আমি যুক্তরাজ্যের উদাহরণ দিয়েছি। সেখানে গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হলে, কারও বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হলে, কারও চরিত্র হনন করা হলে, সেখানে যেভাবে গণমাধ্যমকে জরিমানা গুনতে হয়, সেটি আমাদের দেশে সেভাবে নেই। আমি তুলনামূলক চিত্রগুলো তার সামনে উপস্থাপন করেছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ ভালো কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন পিটার হাস।

বৈঠকে র‌্যাব ইস্যুতেও কথা হয়েছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী।

রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাস বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক অর্ধশতকের। ঢাকা-ওয়াশিংটন যৌথভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কাজ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী জানান, র‌্যাবের মূল কাজটিই হলো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন। তাই নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা হতে পারে বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।