প্রেস ওয়াচ রিপোর্টঃ বুধবার,৩১ মার্চ,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৪০তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. জেবউননেছা, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন ও সোলমাইদ হাই স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আফরোজা বেগম নীলা।
সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার এবং সঞ্চালক ও মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়ী।
ড. জেবউননেছা বলেন,জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে দেশবাসীকে চিনতে হবে দেশ এবং জাতির পিতাকে হত্যার নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীকে, তাদের দোসরদের এবং খলনায়কদের। তাদের কাছে, তাদের হাতে দেশ কখনও নিরাপদ নয়, নিরাপদ থাকতে পারে না।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষণজন্মা বঙ্গবন্ধুকে নিঃশেষ করে দিয়ে বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ১৯৭১-পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।
আফরোজা বেগম নীলা বলেন, মায়ের ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য সেই তরুণ বয়সেই ১৯৪৮ সালের মার্চ থেকে শুরু করেন আন্দোলন বঙ্গবন্ধু।
দিপু সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চিহ্নভিন্ন করে দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নিতে। সফলও হয়ে যেত যদি সে রাতে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুরই কন্যা শেখ হাসিনা শক্ত হাতে হাল না ধরতেন দুর্ভাগা দেশটার ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার এবং রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার।