27tanvir

প্রেস ওয়াচ রিপোর্টঃ  সোমবার মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ আলোচনা সভার ২৩৮তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।                                   

জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. জেবউননেছা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক আবু সালেক খান,রংপুর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসাঃ আর্জিনা খানম,নীলফামারীর জলঢাকা থেকে পিএইচডি গবেষক ফাতেমা তুজ-জোহরা লিমা,পঞ্চগড় থেকে খাদেমুল ইসলাম ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন।       

সভায় গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া থেকে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ফেলো ড.তানভীর ফিত্তীণ আবীর এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।

সভাপতির বক্তৃতায় ড. কলিমউল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো নিজের জন্য কিছু করার কথা চিন্তা করেননি।

ড. জেবউননেছা বঙ্গবন্ধুর অহিংস ও শান্তিকামী মননের বিশেষ দিক উল্লেখপূর্বক বিশ্বশান্তিতে তার ব্যাপক অবদান এবং একই সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায় তার সে অবদানের স্বীকৃতির ওপর আলোকপাত করেন।

গবেষক আবু সালেক খান বলেন, বাঙালি বীর মুক্তিযোদ্ধারা আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাক-হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে সমর্থ হন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেন-এই কথা বলার মধ্যে গৌরব আছে,আছে বীরত্ব,আছে নায্যতা এবং আছে বৈধতা।

প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ষাটের দশকে নয়; বরং পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই উপলব্ধি করেছিলেন যে পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাঙালিদের মুক্তি নেই।

ডক্টর আবির বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য জলবায়ু উন্নয়নের জন্য বিশ্বে হাতেগোনা যে ক’জন নেতা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বঙ্গবন্ধুর মতোই শুধু বাংলাদেশ না বিশ্বের বসতি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।

আর্জিনা খানম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বিশ্বশান্তির অগ্রদূত।

কাজী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন,বঙ্গবন্ধু ছিলেন অহিংসার প্রতীক, যা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রতিফলিত।

দিপু সিদ্দিকী বলেন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তিই শুধু নয়, বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম ছিল বিশ্বের সব নিপীড়িত মানুষের জন্য এবং সব প্রকার অন্যায় ও অশান্তির বিরুদ্ধে।

সভাটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার এবং রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার।